Kolkata Tram: কলকাতা হাইকোর্টের বার্তার পরেই ৪টি রুটে ট্রাম চালাতে উদ্যোগী পরিবহণ দফতর

ট্রাম চালানোর পক্ষে নয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ এভাবে ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করতে পারে না। পুলিশের সেই এক্তিয়ারই নেই। তাই কোনওরকম বিতর্ক না করে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ট্রামকে কীভাবে রক্ষা সেবিষয়ে সরকারের গঠনমূলক ভাবনচিন্তা করা উচিত। হাইকোর্টের ক্ষোভ পরেই ট্রাম চালানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। কলকাতার ৪টি রুটে ঐতিহ্যবাহী ট্রাম চালানো হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে কোন কোন রুটে ট্রাম চালানো যায় সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা, যানজট কমাতে কার্যত কলকাতায় ট্রাম তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল পুলিশের

বর্তমানে কলকাতায় যে রুটগুলিতে ট্রাম চলছে সেগুলি হল গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা, শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলার এবং টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। এই তিনটি রুটের মধ্যেই ট্রাম চলাচল করছে। আগামী দিনে ধর্মতলা থেকে খিদিরপুরের মধ্যে ট্রাম চালাতে চায়ছে পরিবহণ দফতর। তবে এই রুটে জোকা বিবাদী মেট্রো প্রকল্পের জন্য সমীক্ষার কাজ চলার কারণে সেখানে ট্রাম চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে আগামী দিনে যদি এই রুটে মেট্রো নির্মাণ কাজ না করে তাহলে ধর্মতলা থেকে খিদিরপুরের মধ্যে পুনরায় ট্রাম চালানো সম্ভব হবে বলে পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ট্রাম চলার কারণে একাধিক সমস্যা হচ্ছে। যেমন যানজটের সমস্যা, এছাড়া ট্রাম লাইনের ফাঁদে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। সম্প্রতি এই জানিয়ে কলকাতা পুলিশ রাজ্য পরিবহন দফতরকেও চিঠিও দিয়েছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্ট তা নিয়ে চরম বিরোধিতা করে। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ট্রাম হল রাজ্যের ঐতিহ্য। তাই তাকে রক্ষা করতে হবে। ট্রাম চালানোর পক্ষে মত প্রকাশ করে আদালত বলে, কোর্ট একটি কমিটি তৈরি করেছে। সেই কমিটি খতিয়ে দেখবে কী ভাবে ট্রাম পরিষেবা ফের চালু করা যায়। পুলিশের দাবির কতটা যৌক্তিকতা আছে তাও খতিয়ে দেখবে কমিটি। তাছাড়া ট্রামকে আধুনিক করে নতুন প্রজন্মের কাছে কীভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলে বেঞ্চ। শীতকালীন ছুটির পরে এবিষয়ে আদালতে রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকার।