Attack in Parliament: ‘দোষী হলে আমার ছেলেকে ফাঁসি দিন’ জানালেন সংসদে হামলায় জড়িত যুবকের বাবা

সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হামলার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বুধবার পাবলিক গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই যুবক। তাঁদের হাতে ছিল ক্যানিস্টার। সেখান থেকে হলুদ ধোঁয়া বেরোতে থাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে একজনের নাম হল ডি মনোরঞ্জন। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুবকের বাবা দেবরাজগৌড়া। তিনি জানিয়েছেন, দোষী প্রমাণিত হলে তার ছেলেকে ফাঁসি দেওয়া হোক।

 আরও পড়ুন: ‘‌কর্নাটকের বিজেপি সাংসদকে বহিষ্কার করতে হবে’‌, সংসদে হামলার ঘটনায় সরব তৃণমূল

ঘটনার পরেই একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেবরাজগৌড়া বলেন, ‘আমার ছেলের।সোনার চরিত্র। সে সবসময় মানুষের জন্য ভালো করতে চেয়েছিল। তবে সে এমন কাজ করেছে শুনে আমি হতবাক। কিন্তু আমি সংসদে তার হামলার নিন্দা জানাই। সংসদ হল মহান মানুষদের তৈরি একটি মন্দির। যে এটা করেছে, এটা অন্যায়। যদি সে দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে সে আর আমার ছেলে নয়।’

জানা গিয়েছে জানা গিয়েছে, ডি মনোরঞ্জন মাইসুরের মাল্লাপুরা গ্রামের বাসিন্দা। কৃষক পরিবারের সন্তান ওই যুবক। মনোরঞ্জনের শিক্ষার জন্য ১৫ বছর আগে ওই পরিবার মাইসুরুতে এসেছিল। বিই’তে পড়াশুনা করেছে। কৃষিকাজেও বাবাকে সাহায্য করেছে। তার বাবা জানান, মনোরঞ্জন প্রচুর পড়াশোনা করত। বিশেষ করে স্বামী বিবেকানন্দের বই সে বেশি করে পড়ত। তাঁর আশঙ্কা, চরম জ্ঞান তাকে এমন একটি কাজ করতে প্ররোচিত করেছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের মাইসুরুর সাংসদ প্রতাপ সিনহার সুপারিশে যে পাস দেওয়া হয়েছিল, সেই পাস নিয়ে সংসদে ঢুকেছিলেন ওই দুই যুবক। দেবরাজেগৌড়া বলেন, প্রতাপ সিংহও একই জেলার বাসিন্দা। প্রতাপের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি তার ভোটার। তিনি আরও জানান, মনোরঞ্জনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। প্রতাপ সিংহ একজন ভালো মানুষ। মনোরঞ্জন হয়তো প্রতাপের কাছে পাশ চেয়েছিলেন। তিনি হয়তো দিয়েছেন। কিন্তু যদি কেউ এটির অপব্যবহার করে থাকে তবে এটি ভুল।

দেবরাজেগৌড়া বলেন, ‘মনরঞ্জন দুই দিন আগে স্টেশনে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। যেহেতু সে বড় ছেলে তাই তার প্রতিটি কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। আমি আমার কৃষি জমিতে ছিলাম এবং আমি পরে মাইসুরুতে আসি। ঘটনার বিষয়ে শুনেছি।’