খিদে পাওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। খিদে পাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে বলে ধারনা করা যেতে পারে। ক্ষুধামন্দা কখনই শরীরের জন্য ভাল নয়। সারাদিনে খুব কম খিদে পাওয়া কিন্তু মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
বিভিন্ন কারণে কম খিদে পায়। কোনও মানসিক সমস্যা, থাইরেয়েডের সমস্যা, বা ক্যান্সার জাতীয় মারাত্মক রোগের কারণে হঠাৎই খিদে কমে যায়।
এশিয়ান হসপিটাল ফরিদাবাদের ইন্টারনাল মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ডাঃ রাজেশ কুমার বুধিরাজা জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবারের প্রতি ক্রমাগত আগ্রহের অভাব গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সূচক হতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরে এই সব রাশির উপরে প্রভাব ফেলতে পারেন শনি! কেমন যাবে ২০২৪ জেনে নিন
ডাঃ বুধিরাজা খিদে না পাওয়ার কিছু প্রধান কারণ জানিয়েছেন সেগুলি হল-
১) হঠাৎ ক্ষুধা হ্রাস গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার জন্য দায়ী করা যেতে পারে। প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ (আইবিডি), গ্যাস্ট্রাইটিস এবং পেপটিক আলসারের মতো পরিস্থিতি পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে ব্যথা এবং ক্ষুধা হ্রাস পায়।
২) একটি আন্ডারঅ্যাক্টিভ থাইরয়েড বা হাইপোথাইরয়েডিজমের ফলে খিদে কমে যায়। বিপাক নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড গ্রন্থির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে । তাই থাইরয়েডের সমস্যা হলে মারাত্মক ভাবে খিদে কমে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল না থাকলেও খিদে কমে যেতে পারে। হতাশা, উদ্বেগ এবং স্ট্রেসের মতো অবস্থার কারণে ক্ষুধা হ্রাস সহ বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণগুলি দেখা দেয়।
বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ, যেমন যক্ষ্মা বা এইচআইভি / এইডসের কারণেও ক্ষুধা হ্রাস হতে পারে। এই সংক্রমণগুলির কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজম সিস্টেমের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শীতে খেতেই হবে এই সব খাবার! মেটাবলিজম বাড়বে দ্রুত
দীর্ঘদিন ধরে অকারণে খিদে না পাওয়া নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এমন ক্যান্সার, যেমন পেট বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার, প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে খাবারের প্রতি কম আগ্রহের সাথে উপস্থিত হতে পারে। ক্যান্সারের প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
খিদে কমে যাওয়াকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এই সমস্যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার, থাইরয়েড কাজে অনীহা, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ছাড়াও খিদে কমে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অজান্তে শরীরে অন্য কোনও রোগও বাসা বাঁধতে পারে।