TMC meeting: মাদ্রাসায় পরীক্ষা বন্ধ রেখে সভা করল তৃণমূলের, নিন্দায় সরব বিরোধীরা

পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলছে মাদ্রাসায়। অথচ সেই পরীক্ষা বন্ধ রেখেই সভা করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে বিধায়ক এবং শাসকদলের নেতারা। উত্তর ২৪ পরগনার আমিনপুর কেএমসি সিনিয়র মাদ্রাসায় পরীক্ষা বন্ধ করে সভা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরীক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কীভাবে বন্ধ রেখে সভার আয়োজন করল শাসক দল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দাবি, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাতিল করা হয়নি। এতে পড়ুয়াদের সেরকম কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: বিজেপিকে ঝাঁটা মারার নিদান দিয়ে শুভেন্দুকে ‘গদ্দার অধিকারী’ বলে তোপ জয়প্রকাশের

জানা গিয়েছে, আমিনপুর কেএমসি সিনিয়র মাদ্রাসায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা চলছে। বুধবার সেখানে ছিল নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা। ওইদিনই মাদ্রাসায় সভা করে শাসক দলের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। সভার কারণে নবম শ্রেণির দুটি পরীক্ষা ওই দিন বন্ধ রাখা হয়। তার পরিবর্তে পরীক্ষা অন্য দিন নির্ধারিত করা হয়। সভাতে যোগ দিয়েছিলেন ৩০০–এর বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা। এছাড়াও ছিলেন বসিরহাটের বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম, বারাসত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভু ঘোষ প্রমুখ। এদিন এই সভার আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এ কে এম ফারহাদ। পরীক্ষা বন্ধ রেখে সভা করা প্রসঙ্গে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মৌলানা আব্দুল হামিদ জানান, এদিন বৈঠকে সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। তার জন্য পরীক্ষা এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবারের পরীক্ষা শনিবার নেওয়া হবে। এতে পড়ুয়াদের তেমন কোনও ক্ষতি হবেনা।  যদিও সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এ কে এম ফরহাদের দাবি, ওই মাদ্রাসায় যেদিন কোন পরীক্ষায় ছিল না। সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের পরীক্ষা, পড়াশোনা সমস্ত বিষয়েই রাজ্য সরকার যথেষ্ট সহনশীল।পরীক্ষা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷

তবে এভাবে পরীক্ষা বন্ধ রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা এর তীব্র সমালোচনা করেছে। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের বক্তব্য, তৃণমূলের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে তলানিতে ঠেকে যায় সেই প্রচেষ্টাই তারা করছে। এরকম না হলে পরীক্ষা বন্ধ রেখে রাজনৈতিক সভা করা যায় না। বিরোধীদের বক্তব্য, পরীক্ষা শেষেও সেখানে রাজনৈতিক সভা করা যেত।