Anganwadi centre: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সিদ্ধ টিকটিকি, খেয়ে অসুস্থ ৩০ জন, তদন্তের নির্দেশ

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে কখনও টিকটিকি অথবা কখনও পোকা পাওয়ার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। এরই মধ্যে আবারও একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে পাওয়া গেল সিদ্ধ টিকটিকি। আর সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৩০ জন। বর্তমানে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের লোড়পুর এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এখন তারা আর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেতে চাইছেন না। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১২ শিশু

জানা গিয়েছে, প্রতিদিনকার মতো বৃহস্পতিবারও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশু এবং মায়েদের জন্য খিচুড়ি দেওয়া হয়েছিল। সেই খিচুড়ি রান্না টিফিনবক্সে করে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। এরপর এক অভিভাবক টিফিন বক্স খুলে খিচুড়ি খেতে গিয়েই তাতে একটি সিদ্ধ টিকটিকি দেখতে পান। মুহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খিচুড়িতে টিকটিকি ছিল জানতে পেরে একের পর এক অনেকেই বমি করতে শুরু করেন। তার ফলে একে একে কমপক্ষে ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ক্ষীরপায় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। তাছাড়া রামজীবনপুর এবং ক্ষীরপায় পুলিশ ফাঁড়ির ২ আইসিও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তারা অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন। 

অভিভাবকদের অভিযোগ, খিচুড়ি রান্নার সময় টিকটিকি পড়েছিল। আর সেই টিকটিকি খিচুড়ির সঙ্গে রান্না করা হয়েছিল। কারণ খিচুড়িতে টিকটিকিটি সিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তিনি জানান, তার সন্তান খাবার খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। অসুস্থদের হাসপাতালে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর যারা এখনও অসুস্থ রয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের সহায়িকা পূর্ণিমা মণ্ডল। তার বক্তব্য, খিচুড়ি রান্না এবং দেওয়ার সময় তাদের চোখে কিছুই পড়েনি। সেক্ষেত্রে টিকটিকি পড়ে থাকলে তারা অবশ্যই জানতে পারতেন। তার বক্তব্য, টিফিনে করে সকলেই খিচুড়ি নিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বাড়িতেও খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ে থাকতে পারে।