নীলফামারীতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৭ প্রার্থী

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর চারটি আসনে সাত জন পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দুজন, জাকের পার্টির দুজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী দুজন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের একজন রয়েছে।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রত্যাহারকারীরা হলেন নীলফামারী-১ (ডোমার, ডিমলা) খায়রুল আলম বাবুল ((স্বতন্ত্র প্রার্থী) ও মো. লতিবালী (জাকের পার্টি)। নীলফামারী সদর আসন-২ মো. আবু সাঈদ (জাকের পার্টি)।

নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) ও মো. গোলাম মোস্তফা (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)।

নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ) এই আসনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন, জাকির হোসেন বাবুল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও শাখওয়াৎ হোসেন (স্বতন্ত্র)।

এক আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী মো. লতিবালী জানান, জেলার চারটি আসনের মধ্যে শুধু দুটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আমরা আজ দুজন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলাম।

নীলফামারী-৩ আসনের প্রত্যাহার করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা জানান, জেলার চারটি আসনের মধ্যে দুটি আসন জোটকে ছেড়ে দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

বাকি তিনটি আসন যথাক্রমে ১, ৩, ৪-এর প্রার্থীরা জানান, আমরা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ভোট নিয়ে অত আগ্রহ নেই। নেই কোনও উৎসাহ-উদ্দীপনা। এ অবস্থায় দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ ঘোষ জানান, জেলার চারটি আসনে ৩৭ জনের মধ্যে আজ ৭ জন প্রার্থী স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকি ৩০ প্রার্থীর মধ্যে আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর থেকে নিয়ম অনুযায়ী প্রচার-প্রচরণা চালাতে পারবেন।