Go Waterless Car Wash: জল ছাড়া গাড়ি ধুয়েই কোটি টাকা আয়! নীতিনের উদ্যোগ দিশা দেখাচ্ছে আগামী পৃথিবীকে

পানীয় জলের ভাণ্ডার কমছে সারা বিশ্বেই। এই নিয়ে নিয়মিত সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। অথচ পান করার স্বাদু জলই নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন ঘরবাড়ির নিত্য কাজে লাগে স্বাদু জল। স্নান করা থেকে কাপড় কাচাও এতেই হয়। আবার গাড়ি ধোয়ার কাজেও লাগে এই জল। শুধু গাড়ি ধুতেই একগাদা জল খরচ হয় আমাদের। এবার সেই জল বাঁচিয়েই গাড়ি ধোয়ার বুদ্ধি দিল ভারতের একটি সংস্থা। সংস্থার নাম ‘গো ওয়াটারলেস’  (Go Waterless)। সংস্থাটির কর্তা নীতিন শর্মাই (Nitin Sharma) মাথা খাটিয়ে বার করেছেন গাড়ি ধোয়ার নতুন কায়দা। 

(আরও পড়ুন: Viral video: মলত্যাগের পর ঠিকমতো শৌচই করেন না! প্রেমিকের স্বভাব দেখে ব্রেক আপ তরুণীর)

জলের অভাবে মার খাচ্ছিল ব্যবসা

২০১৬ ও ২০১৭ সালে ভীষণ মার খাচ্ছিল তাঁর ব্যবসা। জলের অভাবের কারণেই। নীতিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সমস্যা মেটাতে জলের ট্যাঙ্ক কেনাই যেত। কিন্তু তাতে দীর্ঘমেয়াদী লাভ হত না। তাই ৪০ বছর বয়সি নীতিন খুঁজে বার করলেন জল ছাড়াই গাড়ি ধোয়ার নয়া কায়দা। তাতেই লাভের মুখ দেখছেন নীতিন।

কোন কায়দায় গাড়ি ধোয়া হয়

গাড়ি ধোয়ার জন্য একটি হাই-লুব্রিকেটিং স্প্রে ব্যবহার করে  ‘গো ওয়াটারলেস’। তাতে গাড়ির ভিতর ও বাইরে দুইই ধোয়া যায়। বর্তমানে সারা দেশের মধ্যে ২২টি দেশে  ‘গো ওয়াটারলেস’-এর আউটলেট রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে এই ব্য়বসা শুরু করেন নীতিন শর্মা। সেই সময় থেকে রোজ একটা বিশাল পরিমাণ জল বাঁচাচ্ছে  ‘গো ওয়াটারলেস’। জলের উৎস কি একেবারেই নেই? নীতিন  সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, জলের একমাত্র উৎস বোরওয়েল। সেই জলের পরিমাণও একেবারে কম। তাই গাড়ি ধোয়ার জন্য জল ছাড়া নয়া কায়দাই ব্যবহার করছে নীতিনের সংস্থা।

(আরও পড়ুন: Air pollution: মানুষের ‘বাতকর্ম’-এর ঠেলায় বাড়ছে দূষণ! এবার সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা)

শুধু গাড়ি ধুয়েই চমকে দেওয়ার মতো আয়! 

গাড়ি ধুয়ে নীতিনের আয় রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতোই। রোজ ৫০টি করে গাড়ি ধোয়া হয় তাঁর সংস্থায়। গাড়ি ধুয়ে বছরে আড়াই কোটি টাকা বার্ষিক আয় হচ্ছে নীতিনের। এর পাশাপাশি রোজ লাখ লাখ লিটার জল বাঁচাচ্ছে এই সংস্থা।  ‘গো ওয়াটারলেস’-এর হিসেবে এই জলের পরিমাণ দৈনিক ১২ লাখ লিটার। 

নীতিনেরই ফর্মুলা

গাড়ি ধোয়ার জন্য যেই মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়, তা নীতিনেরই আবিষ্কার। প্রসঙ্গত, নীতিনের কাকা আমেরিকায় এমনই একটি মিশ্রণ আবিষ্কার করেন। কিন্তু তাতে গাড়িতে স্ক্র্যাচ পড়ে যেত। নীতিন সেই একই ফর্মুলাকে একটু শুধরে নেন। তাতেই কাজ হয়। কোনও স্ক্র্যাচ ছাড়াই গাড়ি দারুণ সাফ হয়ে যায়।