Kunal Ghosh: ২০৩৬-এর পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক, জনসভায় বললেন কুণাল ঘোষ

রাজ্যের বকেয়া চাইতে রাজধানীতে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী বৈঠক হবে বুধবার। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার মুহূর্তে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

রবিবার হুগলি জেলার চুঁচুড়ার একটি সভায় কুণাল বলেন, ‘শকুনের চোখে অনেকেই তাকিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তৃণমূলকে যদি দূর্বল করা যায় তবে বাংলা দখলে আসবে। সেগুড়ে বালি। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পর মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সরকার থাকবে ও চলবে। নতুন নতুন ছেলেমেয়েদের দলে আনুন।’

তবে এই নতুন নয় এর আগেও কুণাল মমতা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মাঝেই এই বার্তা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র।

(পডুন। ‘ওরা ঝাড়খণ্ড বা বিহারের, সংসদ হামলায় বাংলার কোনও যোগ নেই’, BJP-কে তোপ মমতার)

জোট প্রসঙ্গে

এদিন ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘জোট যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য নেতাদের সামনে রেখে লড়াই করে তবে ১০০ আসনও পার করতে পারবে না।’

সংসদকাণ্ডে বাংলা যোগের দাবি ওড়ালেন

দিল্লি যাওয়ার আগে সংসদকাণ্ডে বাংলাযোগের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে কুণাল নিশানা করেন অমিত শাহকে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না। যে সাংসদ পাস দিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অমিত শাহ এখনও চেয়ারে বসে আছেন । পুলওয়ামা কী কারণে ঘটেছিল? কাদের ব্যর্থতা ঘটেছিল, তা জানা যায়নি।

(পড়ুন। দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী,প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়া আর কী কী কর্মসূচি রয়েছে?)

বকেয়া চাইতেই দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণাল বলেন, ‘দিল্লিতে আমাদের দুটো ঘোষিত কাজ রয়েছে। ১০০ দিনের কাজের অর্থ এবংর অন্য প্রকল্পে বকেয়া টাকা আদায়। টাকা নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র।’

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে বকেয়া আদায়ের প্রসঙ্গও তোলেন।