কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্টে কী আছে যে ‘টাকা আটকে রাখা হচ্ছে’? জানতে চাইল রাজ্য

একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার কোটি-কোটি টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে রাজ্য। গত কয়েক মাস ধরে সেই বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য দাবি জোরদার করছে শাসক দল। এদিকে, কেন্দ্রীয় দল বেশ কয়েকবার ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার প্রকল্প খতিয়ে দেখে গিয়েছে। রাজ্যের দাবি, সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তা সত্ত্বেও কেন টাকা আটকে রয়েছে? তা জানতে চাইছে রাজ্য সরকার। তার জন্য এবার কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানের রিপোর্টে কী উল্লেখ করা হয়েছে, জানতে চাইছে সরকার। সেজন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: কাজ করেও যারা ১০০ দিনের টাকা পায়নি, দিল্লিতে তাদের নাম পাঠাবে বঙ্গ বিজেপি

আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগেই বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্য। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বকেয়া আদায়ের জন্য বৈঠক করবেন। প্রসঙ্গত, আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র সরকার। সেই টাকার দাবিতে আন্দোলনে করেছে শাসক দল। পাশাপাশি একাধিবার চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। 

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অনুসন্ধানের রিপোর্ট জানতে চেয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি দুটি প্রকল্প খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রের সাতটি দল। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা আছে মন্ত্রকের কাছে। ফলে রাজ্য চাইছে রিপোর্ট জমা করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে তারাও সেটি জানতে পারে। নবান্নের দাবি, এর আগে এই দুই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের তরফে  যা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বা সংশোধন করতে বলা হয়েছিল, তা সবই করা হয়েছে। অথচ বহুবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়ে রিপোর্ট দিলেও এখনও বরাদ্দ পায়নি রাজ্য। ফলে কোন যুক্তিতে বরাদ্দ বন্ধ রাখা হয়েছে তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে তা জানতে চেয়েছে রাজ্য সরকার।

পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, এর আগে কেন্দ্রীয় দল ঘুরে যাওয়ার ছয় মাস পর রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তাই এবার যাতে সেরকম দেরি না হয়, তার জন্য সঙ্গে-সঙ্গে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁর মতে, দেরি হলে সে ক্ষেত্রে গরিব উপভোক্তারা সমস্যায় পড়বেন। যদিও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বড় মাপের কিছু গাফিলতি ধরা পড়েনি। আসন্ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সে বিষয়ে অনুরোধ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।