প্রথমবার নৌকা পেয়েও ছাড়তে হলো তাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন কানাই লাল বিশ্বাস এবং পিরোজপুর-৩ আসনে পেয়েছিলেন মো. আশরাফুর রহমান। কিন্তু মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন প র্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তারা।

পিরোজপুর-২ আসনটি জাতীয় পার্টিকে (জপি) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ আসনে জেপির প্রার্থীর আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। আর পিরোজপুর-৩ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পাটিকে। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মাশরেকুল আজম রবি। তিনিও এবারই প্রথম মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় পার্টি থেকে।

কানাই লাল বিশ্বাস পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আশরাফুর রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়মী লীগের বর্তমান কমিটির সদস্য। অবশ্য আশরাফুর রহমান ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তিনি।

এ বিষয়ে কানাই লাল বিশ্বাস বলেন, আমি এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছি। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক প্রধান শেখ হাসিনা। রাজনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনপ্রক্রিয়ার স্বার্থে তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, একজন কর্মী হিসেবে সে সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। আর এই মেনে নেওয়াটা  রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এ জন্য আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।

পিরোজপুর-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী  মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফুর রহমান বলেন, আমিও এবারই প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছি। দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছি।

এ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, যিনি জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। তার দল জাতীয় পার্টি তাকে এবার মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।

২০১৮ সালে তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এর আগে তিনি পিরোজপুর-৩ আসনের একাধিকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।