নির্বিচারে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল নিউটাউনে, কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে হিডকো

বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং পরিবেশ দূষণ যেভাবে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাতে সারা রাজ্যে গাছ লাগানোর উপর জোর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কলকাতা পুরসভা, হিডকো থেকে শুরু করে গ্রামবাংলায় পঞ্চায়েতের উপর এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে নিউটাউনের কদমপুকুরে নির্বিচারে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল। এমন আবহ তৈরি হলেও কোনও কিছুতেই সচেতন করা যাচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। নিউটাউনের কদমপুকুরে দীর্ঘদিনের একটি পুরনো বটগাছ কাটার দিয়ে কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে রাস্তার উপরে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইহই কাণ্ড বেঁধে গিয়েছে।

এদিকে গাছ লাগানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাটে সৌন্দর্যায়ন পর্যন্ত করা হয়েছে। কলকাতা এবং গ্রামবাংলায় এই কাজ ব্যাপকভাবে হয়েছে। সেখানে নিউটাউনের মতো জায়গায় গাছ নিধন করার ঘটনা নিঃসন্দেহে সমালোচনার যোগ্য। এদিন সৌন্দর্যায়নের জন্য নিউটাউন বিশ্ব বাংলা সরণি ডিভাইডারের উপর লাগানো গাছগুলিকে কেটে ফেলা হয়েছে। প্রায় ৫০ মিটার জুড়ে এভাবেই নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে এই গাছ নিধন যজ্ঞ চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেছেন হিডকোর এক কর্তা। আর ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন।

অন্যদিকে এই এলাকায় সিসিটিভি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আর সেটা হওয়ার জেরে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা প্রশাসনের কাছে কার্যত এখন ধোঁয়াশা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। এভাবে গাছ কেন কাটা হল?‌ উঠেছে প্রশ্ন। গাছ কাটার ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এলাকার লোকজন ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ করেছেন। তারপরই তড়িঘড়ি ইকোপার্ক থানার থেকে একটি পুলিশের গাড়ি আসে এবং পুলিশ কর্মীরা ওই এলাকার গাছ নিধনের ঘটনা সচক্ষে দেখেন। আর ছবি মোবাইলে তুলে ধরেছেন। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমি ভাগ্যবান, এখন সাংসদ নই’‌, একাধিক সাংসদদের সাসপেন্ডে কড়া মন্তব্য মমতার

এছাড়া এলাকার বাসিন্দাদের দাবি রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এসে গাছ কাটার মেশিন দিয়ে এই গাছগুলি কেটে নিয়ে যায় সেটা খতিয়ে দেখে বাসিন্দাদের জানান। প্রয়োজনে এখানে টহল বাড়ান। এভাবে প্রকৃতির ক্ষতি করলে সেটা দণ্ডমূলক অপরাধের মধ্যে পড়ে। এলাকার সিসিটিভি ঠিক করার দাবি জানান বাসিন্দারা। এখানে রাস্তার দু’‌পাশে ব্যারিকেট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যে গাছগুলি লাগানো হয়েছিল সেই সমস্ত গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এটার সঠিক তদন্ত করার দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।