Parliament MPs Suspension: বেনজির! শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সংসদ থেকে সাসপেন্ড মোট ৯২ সাংসদ

গত ১৩ ডিসেম্বর ২২ বছর আগের সংসদ হামলার স্মৃতি উস্কে দিয়ে বর্তমান সংসদের কক্ষে সভা চলাকালীন হামলা চালায় ২ যুবক। বাইরে তাদের সমর্থনে তখন স্লোগান দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এই ভয়াবহ ঘটনা ফের একবার প্রশ্ন তোলে দেশের সংদের নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সংসদে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন। অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেন তাঁরা। এরপর বৃহস্পতিবর সাসপেন্ড হন সংসদের ১৪ জন সাংসদ। সেই দাবিতে সোমবারও বিরোধীরা সরব হন। আর গত বৃহস্পতিবার ও সোমবার মিলিয়ে মোট ৮১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হন সংসদ থেকে। বিকেল ৪.৫০ মিনিটের আপডেটে পরে জানা গিয়েছে মোট ৯২ জন বিরোধী সাংসদকে সংসদ থেকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সংসদ থেকে সাসপেন্ড হন ১৪ জন সাংসদ, তাঁদের মধ্যে রাজ্যসভা থেকে তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়ান ও সংসদ থেকে বাকি ১৩ জন সাংসদ সাসপেন্ড হন। এঁরা সকলেই শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড হন। এরপর ১৮ ডিসেম্বর ৩৩ জন সাংসদ লোকসভা থেকে ৩৪ জন রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন। তাঁরাও চলতি অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ডেড। আজকের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী থেকে তৃণমূলের কাকলী ঘোষ দস্তিদাররা। এরপর যে আপডেট আসে, তাতে জানা গিয়েছে, ৪৬ জন রাজ্যসভা সাংসদ  ৪৬ জন লোকসভা সাংসদকে মোট সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ৯২ জন। এই ৯২ জনই বিরোধী সাংসদ। যে সমস্ত সাংসদের সাসপেনশন শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য হয়েছে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আচরণগত অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, লোকসভার ৩ জন ও রাজ্য সভার ১১ জন সাংসদের সাসপেনশনের বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এদিন লোকসভায় সাসপেনশনের পক্ষে ‘মোশন’ এগিয়ে নিয়ে যান। অভিযোগ ছিল, ওই বিরোধীরা সংসদের আচরণবিধি পালন করছেন না। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, সংসদের ভিতরে প্ল্যাকার্ড সহ বিভিন্ন জিনিস তুলে ধরে বিরোধীরা সংসদের নিয়ম ভেঙেছেন। তার জেরেই ওই মোশন আনা হয়।

সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় , শতাব্দী রায়, প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। দক্ষিণের রাজনীতির তাবজড নাম টিআর বালু, দয়ানিধি মারান সহ বহু হেভিওয়েট সাংসদকে এদিন সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়।