Ferry service to remain close: রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাওড়ার সমস্ত ঘাটে ৬দিন বন্ধ থাকবে লঞ্চ পরিষেবা

আজ থেকে হাওড়ার সমস্ত ঘাটে পুরোপুরি লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রাখছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। আগামী রবিবার পর্যন্ত লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে সমবায় সমিতির তরফে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন নদীপথে প্রচুর সংখ্যক মানুষ কলকাতা এবং হাওড়ায় যাতায়াত করেন। এর ফলে যাত্রীরা এই কদিন চরম দুর্ভোগে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সমবায় সমিতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও রবিবারের পর থেকে লঞ্চ পরিষেবা পুরোপুরিভাবে চালানো হবে কিনা সেই আশ্বাস দিতে পারেনি সংস্থা। এক্ষেত্রে সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন: শেষ হতে চলেছে ফিটনেসের মেয়াদ, কীভাবে মিলবে টাকা! সঙ্কটে ফেরি পরিষেবা

সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১১ টি লঞ্চ যাতায়াত করে। যার মধ্যে পাঁচটি লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার আরও দুটি লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। ফলে চারটি লঞ্চ পড়ে থাকছে। যেহেতু ওই চারটি লঞ্চের সাহায্যে হাওড়ার সমস্ত ঘাটে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় তাই সব লঞ্চ এই কদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমবায় সমিতি। যদিও নিজেদের কাঁধে রাখতে চাইছেন না সংস্থা। 

সমিতির কর্তাদের বক্তব্য, তারা এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে বহুবার জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে নতুন ১৫টি লঞ্চ দিতে সম্মত হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই লঞ্চগুলি এখনও পরিষেবা শুরু করেনি। এখনও সেগুলি এসে পৌঁছয়নি তাদের হাতে। যদিও নতুন লঞ্চগুলি সমবায় সমিতি চালাবে না রাজ্য সরকার চালাবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন লঞ্চগুলি চালু হলে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা উপকৃত হবেন। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মাসের শেষের দিকে অথবা নতুন বছরের প্রথম দিকে যাত্রা শুরু করতে পারে ওই ১৫ টি নতুন লঞ্চ।

সংস্থার বক্তব্য, তাদের হাতে যে ১১টি লঞ্চ রয়েছে অর্থাভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সেগুলি চলাচল করছিল। ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য লঞ্চগুলিকে ড্রাই ডক করে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। তবে সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। এই সমস্ত কারণে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রাখা সংক্রান্ত রাখা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, যে নতুন লঞ্চগুলি চালানো হবে তাতেও ভাড়া থাকবে ৬ টাকা। এই লঞ্চগুলি   হাওড়া, বাউড়িয়া, নাজিরগঞ্জের মতো ফেরিঘাট থেকে চলবে। ৬০ থেকে ১০০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম এই লঞ্চগুলির সর্বোচ্চ গতি হল ৫ থেকে ৯ নটিক্যাল মাইল।এই লাঞ্চগুলি চালু হলে যাত্রীরা উপকৃত হবেন।