আইপিএলে উপেক্ষিত সল্টের তাণ্ডবে সিরিজে সমতা ইংল্যান্ডের

প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর দৃশ্যপটে আসেন ফিল সল্ট। এই ওপেনারের ব্যাটিং তাণ্ডবে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে সমতা ফেরালো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আইপিএলের নিলামে অবিক্রিত থাকার দিনে করলেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে হয়েছে রেকর্ডের ছড়াছড়ি।

সল্টের রেকর্ড ইনিংসের পর লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাটিং ঝড়ে ইংল্যান্ড তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তোলে। ৩ উইকেটে ২৬৭ রান করে সফরকারীরা। পাল্টা জবাব দিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে উইন্ডিজ। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত হার মানে তারা। ১৫.৩ ওভারে ১৯২ রানে অলআউট স্বাগতিকরা। ৭৫ রানে জিতে চার ম্যাচ শেষে সিরিজে ২-২ এ সমতা আনলো ইংল্যান্ড।

দশম ওভারে ইংল্যান্ড প্রথম উইকেট হারানোর আগে জস বাটলার ও সল্ট বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়ে যান। ১১৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।  ২৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৫৫ রানে আউট হন বাটলার। এউইন মর্গ্যানের ১২০ ছক্কার রেকর্ড ভেঙে এখন টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ১২৩ ছয়ের মালিক তিনি। 

উইল জ্যাকসের সঙ্গে সল্টের জুটি ছিল ৫৬ রানের। ৯ বলে ২টি করে চার ও ছয় মারেন জ্যাকস, ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। অন্য প্রান্ত থেকে সল্ট ছিলেন বিধ্বংসী। ৪৮ বলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির মালিক এখন এই ওপেনার। এই ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে থামেন সল্ট। পেছনে ফেলেন অ্যালেক্স হেলসের (১১৬) কীর্তিকে। ৫৭ বলে ৭ চার ও ১০ ছয়ে ১১৯ রান করেন তিনি। এক ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ডও গড়েছেন এই ব্যাটার।

ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে আউট হন সল্ট। অন্য প্রান্তে তাণ্ডব চালান লিভিংস্টোন। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২১ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন লিভিংস্টোন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে রেকর্ড রান তোলে ইংল্যান্ড।

পাল্টা জবাব দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উইকেট হারাতে থাকলেও রানের গতি ছিল। নিকোলাস পুরান ১৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৩৯ রান করেন। সমান বল খেলে ৩৬ রান করেন শেরফানে রাদারফোর্ড। শেষ দিকে লড়াই করেন আন্দ্রে রাসেল। ২৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৫১ রান করেন তিনি।

দুই ইনিংস মিলিয়ে রান ৪৫৯, যা দুই দলের টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ। এছাড়া মোট ৩৩ ছক্কা হয়েছে, যা এক ম্যাচে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রিচ টপলি। দুটি করে পান স্যাম কারান ও রেহান আহমেদ।