প্রেমিকাকে কুপিয়ে বেপাত্তা, সোনারপুর পুরসভার কর্মীকে ধরতে ১ মাস লাগল পুলিশের

সোনারপুরে যুবতীকে কোপানোর ঘটনার প্রায় ১ মাস পর তাঁর সহবাস সঙ্গীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বাবু হালদার। তিনি আবার সোনারপুর পুরসভার কর্মী। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রেমিকাকে কুপিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছিলেন তিনি।

গত ২৪ নভেম্বর সোনারপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক যুবতীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। মিতা গায়েন নামে ওই মহিলা দাবি করেন, বাবু হালদার নামে এক যুবকের সঙ্গে ঘর ভাড়া নিয়ে সহবাস করতেন তিনি। সেই বাবুই তাঁকে কুপিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। চিকিৎসায় তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।

ওই ঘটনায় বাবুর খোঁজে নামে পুলিশ। কিন্তু ১ মাস ধরে সোনারপুর পুরসভার ওই কর্মীর টিকির পাত্তা পায়নি পুলিশ। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা দেখেন বাবুর ফোন বন্ধ। মঙ্গলবার তাঁকে সোনারপুরের দাসপাড়া থেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর ফোন বন্ধ করে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। এর পর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্ত্রী তাঁকে ফিরে আসতে বলেন। এর পর দাসপাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন ২ জনে।

ওদিকে মিতাদেবীর দাবি, গড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল বাবুর। সেখানেই ফোন নম্বর লেনদেন হয়। তার থেকে প্রেম। মিতার প্রেমে স্ত্রীকে ছেড়ে ঘর ভাড়া করে সোনারপুরে তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন বাবু। কিন্তু যুবকের বিভিন্ন গতিবিধি তাঁর ভালো লাগেনি। ফলে সম্পর্ক থেকে বেরোতে চান তিনি। তখনই তাঁর ওপর আক্রমণ চালায় অভিযুক্ত।