রাজ্য পড়ুয়াদের জন্য কী করেছে, স্টুডেন্ট উইকে দৈনিক দু’ ঘণ্টা করে চলবে প্রচার

প্রতিবার নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে পালন করা হয় ‘স্টুডেন্ট উইক’। নতুন বছর শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগে আগামী বছরের শুরুতেই স্টুডেন্ট উইক পালন করার নির্দেশ দিল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। কবে থেকে  শুরু করা হবে? সে বিষয়ে নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে পাঠিয়ে দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। এছাড়াও কীভাবে এই স্টুডেন্ট উইক পালন করা হবে? তার গাইডলাইন্স ঠিক করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের আধার কার্ড করতে বুধবার থেকে জেলায় জেলায় শিবির

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২ থেকে ৮ জনুয়ারি পর্যন্ত স্টুডেন্ট উইক পালন করতে হবে। মূলত শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের কী কী প্রকল্প রয়েছে এবং কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? এই স্টুডেন্ট উইকে প্রচার করতে হবে। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষা দফতরের জারি করা গাইডলাইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ঐকশ্রী, প্রি এবং পোস্ট ম্যাট্রিক্স স্কলারশিপের যে প্রকল্পগুলি রয়েছে সেগুলি প্রচার চালাতে হবে। জানা গিয়েছে, ২ থেকে ৮ জনুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্টুডেন্ট উইক পালন করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত করা হতে পারে স্টুডেন্ট উইক পালন। ওই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তার সঙ্গে বই খাতা বিতরণ করা হবে পড়ুয়াদের। স্টুডেন্ট উইক পালনের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এর নজরদারির জন্য কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। 

এদিকে, শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে। তাই যেকোনও প্রকল্পের প্রচার মানেই দুর্নীতির প্রচার করা ছাড়া আর কিছু নয়। বিরোধীদের বক্তব্য, সামনে লোকসভা ভোট রয়েছে সেই কথা মাথায় রেখে এই প্রচার চলতে চাইছে শাসক দল পড়ুয়াদের মধ্যে এই ধরনের প্রচার করা একেবারে ঠিক নয় বলে মনে করছেন বিরোধীরা। পালটা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মতে, কোনও ছাত্রছাত্রী যদি প্রকল্প সম্পর্কে না জানে তাহলে সেক্ষেত্রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। সেই কারণে এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। এটা ভালো উদ্যোগ।