সংসদে বিজেপি সাংসদরা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলেন, কল্যাণ কাণ্ডে নয়া কৌশল

উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘‌নকল’‌ করার ঘটনায় বেজায় চটেছেন বিজেপির সাংসদরা। তারই প্রতিবাদ করেন এনডিএ সাংসদরা। আজ, বুধবার রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা বিজেপি এবং তাদের শরিক দলের সাংসদরা জগদীপ ধনখড়ের সম্মাননা এবং সমর্থনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এমন অঙ্গভঙ্গি করা আচরণের নিন্দা করে ১০৯ জন এনডিএ সাংসদ রাজ্যসভায় প্রতিবাদ জানান। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সকল সাংসদকে দাঁড়াতে আহ্বান করেন।

এদিকে সংসদ ভবন চত্বরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে নকল করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপযুক্ত সাফাই দিয়েছেন। যদিও তা মেনে নিতে পারছেন না বিজেপি সাংসদরা। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন বিজেপি এবং তাদের শরিক দলের সাংসদরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হন ১০৯ জন এনডিএ সাংসদ। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, ‘‌আমরা এটার জোরাল প্রতিবাদ করছি। সমস্ত সীমা পার করেছে এই ঘটনা। ওরা প্রতিনিয়ত অপমান করছে সংসদীয় পদে বসে থাকা ব্যক্তিকে। তারা ২০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছে। পিছড়ে বর্গের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে জানাচ্ছি, এধরণের অপমান বরদাস্ত করা হবে না।’‌

অন্যদিকে মঙ্গলবার সংসদ ভবনের সামনে বিরোধী সাংসদদের অবস্থানে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে যে ভঙ্গিতে কথা বলেছেন, শরীরী ভাষার প্রয়োগ করেছেন সেটা দেখে আগেই সমালোচনা করেছে বিজেপি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টি জগদীপ ধনখড় নিজেও ভালভাবে নেননি। তিনি এটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলেছেন। এই কারণে আজ সংসদীয় মন্ত্রী সমস্ত এনডিএ সাংসদকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে বলেন। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর কথায়, ‘‌এটা শুধু কোনও সম্প্রদায়কে অপমান নয়, এটা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদকে অসম্মান করার সামিল।’‌

আরও পড়ুন:‌ রাস্তা আটকে কেকের পসরা বসানো যাবে না, জরিমানার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

এই মিমিক্রি নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতি উত্তাল তখন মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার কল্যাণবাবু জানান, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে অসম্মান করা তাঁর অভিপ্রায় ছিল না। জগদীপ ধনখড় সম্মানীয় ব্যক্তি। আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। তাঁকে সম্মান করেন। শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, ‘মিমিক্রি করা একটা আর্ট। এটা আগেও করেছি। আমি তো এটা লোকসভা বা রাজ্যসভায় করিনি। তার পরেও এটা যদি কেউ নিজের দিকে নিয়ে নেন, তাহলে আমি সত্যিই অসহায়। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংসদে প্রধানমন্ত্রীকেও মিমিক্রি করেছি।’‌