Bangladesh election: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীরাই আওয়ামী লিগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী

আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। তবে দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তাই বিরোধীরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারজন্য ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগ। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবার বাংলাদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ে ৩০০টি আসনের মধ্যে যেখানে আওয়ামী লিগের প্রার্থী হল ২৬৬ জন সেখানে নির্দল প্রার্থী ৩৮২ জন। শুধু তাই নয়, নির্দল প্রার্থী হিসেবে যারা ভোটে লড়ছেন তাদের বেশিরভাগই হলেন আওয়ামী লিগের নেতা। এমনকী তাতে অনকে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীও রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ৩২ টি আসন ছাড়ল হাসিনার দল, ভোটে ২৬৩ টি আসনে লড়বে আওয়ামী লিগ

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার বাংলাদেশের নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা হল ১৮৯৫ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লিগের প্রার্থী ২৬৬ জন এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংখ্যা ২৬৫ জন। অন্যদিকে, নির্দল হিসেবে আওয়ামী লিগের যে সমস্ত প্রার্থীরা লড়ছেন তাদের সংখ্যা হল ২২১ জন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার আওয়ামী লিগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হল নির্দল প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৩ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বতায় জয়লাভ করেছিল আওয়ামী লিগ। সে ক্ষেত্রে ভোট বয়কট করেছিল বিএনপি। তবে এরজন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আওয়ামী লিগকে। তাই এবার যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে শাসক দল। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিকে ২৬ টি আসন ছেড়েছে। তবে জাতীয় পার্টি সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা আওয়ামী লিগের সঙ্গে জোট করছে না।

অন্যদিকে, আওয়ামী লিগের যে সমস্ত শরিক দল রয়েছে তার মধ্যে জাসদ পার্টি ৬৪ টি আসনে লড়ছে, তরীকত ফেডারেশন ৩৮টিতে, ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে, জেপি ১৩টি এবং সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়া নির্দল হিসেবে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে সাংসদ রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ, বিভিন্ন পুরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। নির্দল প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। তিনি প্রথমে আওয়ামী লিগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, আওয়ামী লিগ তাঁকে প্রার্থী না করায় তিনি রাজশাহী ১ নম্বর আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিএনপি ভোটে অংশগ্রহণ না করলেও দলের নির্দল প্রার্থীরা আওয়ামী লিগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন।