Gita reading program: গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে বঙ্গ বিজেপি কী ভূমিকা পালন করবে? স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু

বড়দিনের আগে আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডের ময়দানে বসছে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আসর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসছেন না। তাতে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এই অবস্থায় বিজেপি অনুষ্ঠানে কী ভূমিকা পালন করবে? তা স্পষ্ট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে দলীয় ঝাণ্ডা নয়, বঙ্গ বিজেপিকে সতর্ক করলেন উদ্যোক্তারা

প্রধানমন্ত্রী না আসার খবর পেয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সল্টলেকের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী জানান, বঙ্গ বিজেপি এই অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। তবে  অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চে বিজেপির কেউ থাকবে না। মঞ্চের নিচে বসে গীতাপাঠে অংশ নেবে বঙ্গ বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আদি গুরু শঙ্করাচার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মঠ, মিশন এবং বিভিন্ন প্রান্তের প্রথম সারির আশ্রম থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সন্ন্যাসী গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। উদ্যোক্তারা আগেই জানিয়েছিলেন, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বিভিন্ন মঠ এবং মিশনের মিলিত মঞ্চ অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপি এবং আরএসএস থাকলেও উদ্যোক্তারা এই অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। তারা আগেই জানিয়েছেন, ওইদিন ব্রিগেডের মাঠে কেউ যেন বিজেপির ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে না আসে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও দাবি করেছিলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। 

তবে সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এমন ধরনের অনুষ্ঠানে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন বিরোধীরা। আর এই অনুষ্ঠানের পরে আগামী মাসে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। তবে এই অনুষ্ঠানে বিজেপির পূর্ণ সমর্থন থাকবে। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে হিন্দুদের আবেগ জড়িয়ে ধরেছে। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনিও অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।