Birbhum: পঞ্চায়েতের ভোটের পরদিন CPM কর্মীকে পিটিয়ে খুন, TMCর ১২ জন গুন্ডার যাবজ্জীবন জেল Story

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরদিন এক সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে খুনের দায়ে ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। শুক্রবার এই সাজা শোনায় বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালত। রামপুরহাট মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস এই সাজা দেন।

২০১৩ সালের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরদিন ২৩ জুলাই বীরভূমের রামপুরহাট থানার সইপুর গ্রামে সিপিএম কর্মী আটাশ বছর বয়সী হুমায়ুন মিরের উপর চড়াও হয়ে তাকে বাঁশ, লাঠি সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৪ জুলাই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর সেদিনই রামপুরহাট থানায় ১৪ জনের নামে দাদাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বোন জেসমিনা খাতুন। অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। মামলা চলাকালীন দু’জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। গত ২০ জুলাই আদালতের বিচারক ১২ জন অধিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ১২ জনকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দিয়েছেন।

তবে এই রায়ে খুশি নন মৃতের বাবা। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পরদিন দলের পর্যালোচনা বৈঠক সেরে ফিরছিল আমার ছেলে। তখন ওকে রাস্তায় পিটিয়ে মারে তৃণমূল। আমাকে আগেই তৃণমূলে যোগদান করতে চাপ দিচ্ছিল। আমি রাজি হইনি। তাই তৃণমূল আমার ছেলেকে পিটিয়ে মেরেছে। এদের কয়েকজনের ফাঁসি হলে আমার ছেলের আত্মা শান্তি পেত।