SIT On Bittu’s Brother: গোরক্ষক বিট্টুর ভাইয়ের ওপর হামলার তদন্তে SIT পেল না কোনও প্রমাণ, পুলিশ বলছে অভিযোগ ‘ভুয়ো’

অভিযোগ করেছিলেন গোরক্ষক বিট্টু বজরঙ্গির ভাই মহেশ পাঞ্চাল। তাঁর অভিযোগ ছিল, গত সপ্তাহে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ। পুলিশ সূত্রের খবর, এই অভিযোগের ভিত্তিতে যে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা এসআইটি যে তদন্ত করা হয়েছিল, তাতে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এখানেই শেষ নয়। ভুয়ো অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা পুলিশ বিট্টু বজরঙ্গির ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে ।

উল্লেখ্য, বিট্টু বজরঙ্গির ভাই মহেশ পাঞ্চাল সদ্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, একটি গ্যাংয়ের কয়েকজন ওয়াগন আর-এ চড়ে এসে তাঁর সবজির দোকানে চড়াও হয়। অভিযোগ ছিল, ওই ঘটনা গত ১৪ ডিসেম্বর নাগাদ ঘটে গিয়েছে। অভিযোগে মহেশ দাবি করেছেন, গাড়ি থেকে নেমেই তাঁকে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করে যে, তিনি কি সেখানের গোরক্ষক সমিতির কেউ? তিনি তাতে ইতিবাচক উত্তর দিতেই, তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়েই পুলিশ স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মহেশের অভিযোগ ছিল তাঁর গায়ে প্রথমে পেট্রোল ঢালেন ওই হামলাকারীরা। তারপর তাঁর গায়ে আগুন লাগানো হয়। তবে, তদন্ত করতে নেমে এই অভিযোগের সপক্ষে একটিও প্রমাণ পাননি তদন্তকারীরা। এছাড়াও অভিযোগে মহেশ পাঞ্চাল স্থানীয় এক জুস বিক্রেতাকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। জুস বিক্রেতার নাম আরমান। তিনিও ওই গ্যাংয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। 

(Lucky Rashi from 31 December: ঝুট ঝামেলা মিটবে, পাবেন সমৃদ্ধি! ৩১ ডিসেম্বরেই ভাগ্য ফিরছে ৩ রাশির )

( Covid Deaths in India: দেশে করোনা আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু, ছিল গুরুতর অসুস্থতা! ৭ মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক কেস শেষ ২৪ ঘণ্টায়)

এদিকে, তদন্তকারী দল প্রথমেই ওই দিন ক্ষণ তারিখ দেখে আগে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। দেখা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে এমন কোনও ঘটনা দেখাই যায়নি। যে তারিখ ও সময়ের কথা অভিযোগে মহেশ জানিয়েছেন, সেই সময়ের সিসিচিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে মহেশের চালচলনের অন্য দৃশ্য। পুলিশ বলছে, যে দিন ওই হামলার অভিযোগ করছেন পাঞ্চাল, সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত পাঞ্চালকে তাঁর দোকানে বসে মদ্য পান করতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভিতে। ফলে এবার মহেশ পাঞ্চালের বিরুদ্ধে পাল্টা ভুয়ো কেস দায়ের করার অভিযোগ পুলিশ এফআইআর দায়ের করবে। এদিকে, যে আরমানের বিরুদ্ধে মহেশ পাঞ্চালের অভিযোগ ছিল, সেই আরমানকে কোর্টে শনাক্তও করতে পারেননি মহেশ। ফলে মামলা ধোপে টেকেনি।