Rahul Gandhi: ‘ভাবুন তো আমেরিকায় যদি এমন হত…,’ বিদেশি পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল গান্ধী

শ্রীয়া গাঙ্গুলি

হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে ভারত আর অবাধ ও স্বচ্ছ গণতন্ত্রের দেশ থাকবে না। তাঁর মতে কিছু মানুষ যেমন আদানিদের হাতে বেশিরভাগ সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে। তাঁর মতে ভারতের মিডিয়া, আইন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন অবাধ আর নিরপেক্ষ নেই।

রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ভোটে লড়ার জন্য় আপনার পরিকাঠামো দরকার, একটা ফ্রি মিডিয়া সিস্টেম দরকার, একটা স্বচ্ছ আইন ব্যবস্থা দরকার। একটা স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন দরকার। এমন একটা আমেরিকার কথা ভাবুন, ভাবুন তো যদি আমেরিকায় এমন হত, যেখানে আইআরএস, এফবিআইয়ের জ্বালায় বিরোধীরা ওষ্ঠাগত হয়ে যাচ্ছেন। এটাই এখানে উলটো।

তাঁর দাবি, তাঁর সোশ্য়াল মিডিয়া অ্য়াকাউন্টটাও প্রায় নিষিদ্ধ করা রয়েছে। এটাও নিয়ন্ত্রিত। ভারতের ৯০ শতাংশ মিডিয়া তিনজনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই নিয়ন্ত্রণের জন্য় তাঁকে ৪০০০ কিমি হাঁটতে হয়েছে। ভারত জোড়ো যাত্রা।

রাহুল বলেন, যখনই আপনি অর্থনৈতিক উন্নতি নিয়ে কথা বলবেন তখন আপনাকে বলতে হবে কাদের স্বার্থে এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন? আপনাদের কাছে ভারতের বেকারত্বের হারটা আছে। ভারতের নাকি বিকাশ হচ্ছে। আর সেই বিকাশ মানে আদানির হাতে সম্পদ জড়ো হওয়া। সকলেই জানেন আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তিনি আমাদের সমস্ত বন্দর, এয়ারপোর্ট, কৃষি, খনি, শক্তিসম্পদ সব নিয়ে নিতে চান। সম্পদের বণ্টন বলে কিছু নেই।

উৎপাদনক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি নেই অথচ এখানে বিপুল কর্মসংস্থান হতে পারে। দাবি রাহুলের।

রাহুল গান্ধী বলেন, মণিপুর জ্বলছে,..কাশ্মীর জ্বলছে…তামিলনাড়ুতে সমস্যা। তাঁর মতে মণিপুরে পুরো গৃহযুদ্ধ হচ্ছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীও প্রবেশ করতে পারছে না। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী মুখে বেশি কথা বলার থেকে কাজে করে দেখানোতে বিশ্বাসী। একথাই তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন রোজ ৩০ কিমি করে হেঁটেছিলাম। ১৫০দিন ধরে এভাবে হেঁটেছি। রাজনৈতিক জীবনে যেভাবে ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।