শনিবার রাত থেকে রাজপথ পুলিশের দখলে, বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে থাকছে বাড়তি ব্যবস্থা

ইতিমধ্যেই বড়দিন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে মহানগরী কলকাতা। রাস্তায় এখন আলো ঝলমল করছে। আলোর রোশনাইয়ে মায়াবী রূপ নিয়েছে রাতের তিলোত্তমা। সোমবার ‌দিনই বড়দিন। রবিবার মানুষের ঢল নামবে পার্কস্ট্রিট–সহ সংলগ্ন এলাকায়। প্রায় স্তব্ধ হয়ে যাবে ওই এলাকার যান চলাচল। রাজপথের দখল নেবে পুলিশ। রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বড়দিন উপলক্ষ্যে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড়দিনের জন্য পার্কস্ট্রিট এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নিরাপত্তায় ৩৫০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নজরদারির দায়িত্বে থাকবে মহিলা পুলিশের উইনার্স বাহিনী–সহ গোয়েন্দা দফতরের অফিসাররা। এমনকী পথে থাকবেন ডিসি, এসি পদ মর্যাদার অফিসাররাও।

এদিকে নজরদারি চালাতে পার্ক স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। ২৪ ডিসেম্বর বিকেল থেকে ২৫ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত ময়দান এবং পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় সমস্ত ধরনের পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। আর ২৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে একই বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে ২৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে স্বাভাবিক হবে যান চলাচল। লালবাজার সূত্রে খবর, বড়দিনে নজরদারি আরও আঁটসাঁট করা হবে। তার জন্য পার্ক স্ট্রিট এবং সংলগ্ন এলাকাকে মোট ৯টি সেক্টরে ভাগ করা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে সোমবার সন্ধ্যার পরে পার্কস্ট্রিট এলাকায় সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ করা হতে পারে।

অন্যদিকে ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে মানুষের ঢল নামলে, কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই রাস্তাটি ‘ওয়াকিং স্ট্রিট’ করে দেওয়া হতে পারে। নিরাপত্তায় রাখা হচ্ছে পিসিআর ভ্যান, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, রিভার প্যাট্রোলিং এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। কলকাতায় ২৩টি নাকা চেক পয়েন্ট করা হবে। হো–চি–মিন সরণির পূর্ব দিক দিয়ে গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। আবার রয়েড স্ট্রিট ক্রসিং থেকে পার্ক স্ট্রিট ক্রসিং পর্যন্ত রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের উভয়দিকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌রাজনৈতিক গুরুকে প্রণাম জানাই’‌, শিশিরের শব্দ শোনা যেতেই কাঁথির পুরপ্রধানকে শোকজ তৃণমূলের

আর জেএল নেহেরু রোড ক্রসিং থেকে উড স্ট্রিট ক্রসিং, মিডলটন স্ট্রিট, শর্ট স্ট্রিট, উড স্ট্রিট, হো–চি–মিন সরণি, ক্যামাক স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, লিটল রাসেল স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, ইলিয়ট রোডে গাড়ি পার্ক করা যাবে। নিউ মার্কেট, আলিপুর চিড়িয়াখানা, সায়েন্স সিটি–সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। পার্ক স্ট্রিট–সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে কুইক রেসপন্স টিম এবং অ্যাম্বুল্যান্স। ২৪ ডিসেম্বর থেকে রাজপথ চলে যাবে পুলিশের দখলে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি সেক্টরে একজন করে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। ২৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার টহল দেবেন।