স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও সাংবাদিকের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ২ জনকে শোকজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোস্টার ছেঁড়া এবং স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের শোকজ নোটিশ পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন  নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজউল ইসলাম।

শোকজ নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, পাবনার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুন্ডা গ্রামের মৃত ফরমান আলী বিশ্বাসের ছেলে ফুরকান আলী বিশ্বাস ও তার শ্বশুড় একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এস এম আলম বাবলু।

তাদের শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি ফুরকান আলী বিশ্বাস, এস এম আলম বাবলু সহ অজ্ঞাতনামা আরো কিছু ব্যক্তি গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে রাত সোয়া ২টার দিকে সাংবাদিক আব্দুল লতিফ রঞ্জুর বাসার প্রধান ফটকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ সময় বাসা সংলগ্ন তাঁর ওষুধের দোকানে সাটার ও একটি  সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এছাড়াও পরদিন শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উক্ত এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে এবং আবারো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে। যা নির্বাচন পূর্ব একটি অনিয়ম। আপনাদের উক্তরুপ কাজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১১ এর (গ) বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, উক্ত আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে আগামী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে নির্দেশ দেয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত ফুরকান আলী বিশ্বাস ও বাবলু বিশ্বাসের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে উভয়ই ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার দুপুরে দুই দফায় পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল লতিফ রঞ্জুর বাসায় ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।



সালাউদ্দিন/সাএ