Six New Vande Bharat Express: চালু হবে আরও ৬টি বন্দে ভারত, কোন রুটে ছুটবে এক্সপ্রেসগুলি? বাংলা থেকেও ছুটবে নয়া ট্রেন

এই বছর শেষের আগেই দেশে চালু হচ্ছে আরও নতুন ৬টি বন্দে ভারত। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিনই একাধিক রুটে চালু হবে এই নয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এছাড়াও সেদিন দেশের একাধিক রুটে চালু হতে পারে ‘অমৃত ভারত’ এক্সপ্রেস। যা আদতে নন-এসি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি থেকে কাটরা, দিল্লি থেকে অযোধ্যা হয়ে লখনউ, দিল্লি থেকে চণ্ডীগড়, বেঙ্গালুরু থেকে কোয়েম্বাটুর, ম্যাঙ্গালোর থেকে মাডগাওঁ, জালনা থেকে মুম্বই রুটে বন্দে ভারত চালু হতে পারে ৩০ তারিখ। এর আগে কয়েকদিন আগেই বারাণসী থেকে দিল্লিগামী দ্বিতীয় বন্দে ভারতের উদ্বোধনও করেছিলেন মোদী। (আরও পড়ুন: বেড়েছে ডিএ, বাড়তি ৮০০০ টাকা পর্যন্ত ঢুকবে বাংলার কর্মীদের পকেটে! কোন হিসেবে?)

এদিকে জানা গিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর একাধিক রুটে অমৃত ভারত ট্রেনকেও সবুজ পতাকা দেখাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুলায়ি এই ট্রেনগুলির উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। এই আবহে আগামী সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গেরও একটি স্টেশন থেকে অমৃত ভারত ট্রেন ছুটতে শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। ‘বন্দে ভারতের স্লিপার ভার্সন’ ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে বেঙ্গালুরু রুটে ছুটতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই উপলক্ষে মালদা টাউন, নিউ ফরাক্কার মতো বিভিন্ন স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: লাইনে দাঁড়াবেন কেন? ঘরে বসে এই ২ অ্যাপেই হবে LPG-আধার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন

এই নয়া অমৃত ভারত ট্রেনে ২২টি কোচ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এতে ১৮০০ যাত্রী সফর করতে পারবেন। পুশ-পুল প্রযুক্তিতে চলবে এই ট্রেন। এই আবহে ট্রেনের উভয় প্রান্তেই ডাব্লিউ এপি-৫ ইঞ্জিন যুক্ত থাকছে। এদিকে এই ট্রেনে ১২টি কামরা নন-এসি স্লিপার হবে। আর আটটি কামরা হবে জেনারেল শ্রেণির। এছাড়া দু’টি কামরা হবে লাগেজ ভ্যান। এদিকে বন্দে ভারত ট্রেনের মতো অমৃত ভারত ট্রেনের দরজা স্বয়ংক্রিয় থাকবে না। এদিকে ট্রেনের ভেস্টিবিউল হবে বেশ প্রশস্ত। এছাড়া যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কামরায় সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। আর যাত্রীদের সুবিধার্থে থাকবে এলইডি আলো, মোবাইল চার্জার, আধুনিক মানের পাখা। এদিকে ট্রেনের বেসিনের জলের কলে থাকবে সেন্সর। টয়লেট হবে বায়ো টয়লেট।

এদিকে মালদা-বেঙ্গালুরু অমৃত ভারত ট্রেনটি কোন কোন স্টেশনে থামবে বা এর ভাড়া কত পড়বে, তা নিয়েও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই আবহে ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিক ভাবে এই ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা কবে থেকে চালু হবে, তাও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনে যেরকম ভাড়া হয়, সেটার থেকে কিছুটা বেশি ভাড়া পড়বে অমৃত ভারত ট্রেনে। কারণ ‘পুশ অ্যান্ড পুল’ প্রযুক্তির ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি পড়ে। তবে আপাতত ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, দুটি কোচের মধ্যে যে কাপলিং থাকে, সেটা আরও উন্নত করা হয়েছে। তার ফলে কোনওরকম ঝাঁকুনি মালুম হবে না।