Bournvita Slashes Added Sugar: বোর্নভিটায় কমে গেল চিনি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কি এই সিদ্ধান্ত

প্রায় আট মাস আগে, একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার ক্যাডবেরির ‘স্বাস্থ্যকর’ পানীয় তৈরির পাউডার বোর্নভিটায় যোগ করা চিনির পরিমাণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে। এর পরে সংস্থাটি পানীয় তৈরির পাউডার বোর্নভিটায় চিনির পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়েছে। এর আগে বোর্নভিটাতে প্রতি ১০০ গ্রাম পাউডারে ৩৭.৪ গ্রাম যোগ চিনি ছিল। নতুন প্যাকেজিংয়ে দেখা গেল, সেটি হ্রাস করার পরে প্রতি ১০০ গ্রামে চিনির পরিমাণ ৩২.২ গ্রাম হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার এটিকে তাঁর ‘জয়’ বলে দাবি করেছেন। এবং বলেছেন, এই লড়াই ১৪০ কোটি ভারতীয়কে স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ করার জন্য।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় এবং খাবার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানান অ্যাক্টিভিস্ট রেবন্ত হিমাতসিংকা। চলতি বছরে বোর্নভিটা পানীয়ে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা জানিয়ে তিনি একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন। সেটি কয়েক দিনেই ভাইরাল হয়ে যায়।। হিমাতসিংকা শনিবার একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে চিনি কমানোর বিষয়টি জানিয়ে এটিকে নিজের ‘বড় জয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

ভিডিয়োটি শেয়ার করার সময়ে তিনি বলেন, এটি সম্ভবত ইতিহাসে প্রথমবার যে একটি ইনস্টাগ্রাম রিল একটি খাদ্য প্রস্ততকারী দানব-সংস্থাকে তাদের প্রোডাক্টে চিনির পরিমাণ কমাতে বাধ্য করল! তিনি দাবি করেন, চিনি ১৫ শতাংশ কমেছে। ভাবুন সব ভারতীয় যদি খাবারের লেবেল পড়তে শুরু করেন, তাহলে কী হবে। এর পরে আর কোম্পানিগুলি নিজেদের ভুলভাবে প্রচার করার সাহস দেখাবে না।

তিনি এর পরে আরও বলেন, ‘এই লড়াই বার্নভিটার বিরুদ্ধে নয়। এই লড়াই যে কোনও কোম্পানির বিরুদ্ধে, যারা জাঙ্ক ফুড বিক্রি করে, কিন্তু নিজেদের স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করে! ১৪০ কোটি ভারতীয়ের স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার লড়াই এটি। একটি কোম্পানি তার প্রোডাক্টে চিনির মাত্রা পরিবর্তন করলে, একটি চেইন প্রতিক্রিয়া হবে এবং প্রতিটি কোম্পানি আরও সতর্ক থাকবে।’

ঘটনাটি শুরু হয় যখন হিমাতসিংকা ১ এপ্রিল একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়োয় তিনি বোর্নভিটার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, এটি নিজের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ‘পুষ্টির মান’ সম্পর্কে মিথ্যা দাবি করছে। তাঁর অভিযোগ ছিল, এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। হিমাতসিংকা, নিজেকে পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক হিসাবে দাবি করেন। বোর্নভিটার বিরুদ্ধে তাঁর আরও একটি অভিযোগ ছিল, এতে চিনির সঙ্গে এমন রং ব্যবহার করা হয়, যে ক্যানসারও ঘটাতে পারে শরীরে। তিনি বলেন, ‘প্রতি ১০০ গ্রামে ৫০ গ্রাম চিনি আছে। মূলত এই প্যাকেটের অর্ধেকই শুধু চিনি।’এর পরে বিষয়টি নিয়ে মামলামোকদ্দমাও হয়। ক্যাডবেরির তরফে নাকি হিমাতসিংকাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এই ইনফ্লুয়েনসার তার পরে বিভিন্ন পুষ্টিবিদের থেকে লিখিত আকার বয়ান পেশ করেন, যার সব ক’টিই ছিল তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে। এর পরেই বিষয়টি নাকি পালটাতে শুরু করে। হিমাতসিংকা দাবি করেছেন, সরকারও এর পরে ক্যাডবেরি কোম্পানিকে নোটিশ পাঠায় এই চিনির বিষয়টি দেখার জন্য। আর তাতেই কমেছে চিনি। সেটিকেই হিমাতসিংকা নিজের জয় বলেছেন।