Panic button: কাজ করছে না প্যানিক বাটন, সমাধান চেয়ে পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি মালিকদের

যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমস্ত বাণিজ্যিক গাড়িতে ভেহিকেল লোকেশন ট্রাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যেই বহু গাড়ির মালিক অর্থ খরচ করে বসিয়েছেন এই যন্ত্র। কিন্তু, অভিযোগ ভিএলটিডির প্যানিক বাটন ঠিকমতো কাজ করছে না। এছাড়াও আরও একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে রাজ্য পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিল বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স। তারা  পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে এনিয়ে চিঠি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানোর জন্য সময়সীমা বাড়ানো হল আরও দুমাস

তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে তারা প্যানিক বাটন টিপে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, তাতে পুলিশের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এসব কথা সমস্যার সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের আরও বক্তব্য, যতদিন না পর্যন্ত এই সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হয় ততদিন পর্যন্ত ভিএলটিডি বসানোর সময়সীমা বাড়ানো হোক। উল্লেখ্য, ভিএলটিডি বসানো নিয়ে প্রথম থেকেই বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের আপত্তি ছিল। কিন্তু, পরিকাঠামো ঠিকমতো কাজ না করায় তাদের বক্তব্য, মালিকরা অর্থ খরচ করে গাড়িতে ভিএলটিডি লাগিয়েছেন। সেই কারণে আগে পরিকাঠামো ঠিকঠাকভাবে তৈরি করা হোক। তারপরে ভিএলটিডি বাধ্যতামূলক করা হোক। এর জন্য আরও ৬ মাস সময় বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন, সিটি সার্বাবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা।

অন্যদিকে অনলাইন ক্যাব অপারেটর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এi সংক্রান্ত সমস্যা চোখে পড়তেই পরিবহণ দফতরের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে যাতে এই সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়।প্রসঙ্গত, বাণিজ্যিক গাড়িতে ভিএলটিডি বসানো নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে গত বছর ধরে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের নিয়ম মেনে প্রথমে ২০২২ সালে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভিএলটিডি বসানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ওই সময়ের মধ্যে ভিএলটিডি না বসালে দৈনিক ৫০ টাকা করে জরিমানা করা হবে। এনিয়ে প্রতিবাদ জানান বাস মালিকরা। পরে দফায় দফায় এ নিয়ে বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে পরিবহণ দফতরের বৈঠক হয়। শেষমেষ ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে পর্যন্ত সেই সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু, তাতে নানান অসুবিধার কথা জানান বেসরকারি বাস মালিকরা। ফলে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মে করা হয়।