নয়াদিল্লির ঠাণ্ডায় জবুথবু অবস্থা অনুব্রত মণ্ডলের, জেলের কুঠুরি থেকে বেরচ্ছেন না কেষ্ট

বাংলায় এখন ঠাণ্ডা মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু নয়াদিল্লির ঠাণ্ডা তো সবাইকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে। আর তাতেই জবুথবু হয়ে পড়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তিহারের জেলে বন্দি আছেন প্রায় একবছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু বয়স তো বেড়েছে। তাই এই ঠাণ্ডা তাঁকে বেশ কাবু করে ফেলেছে। আর তাই জেলের কুঠুরি থেকে বের হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাপুটে নেতা বলে জেল সূত্রে খবর। এছাড়া শরীর ও মন দুই খারাপ কেষ্টর। তাই সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়া থেকে সরে দাঁড়াতে আর্জি জানিয়েছেন কেষ্ট।

এদিকে নয়াদিল্লিতে বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে ঠাণ্ডা। আর এতেই কাবু হয়ে পড়েছেন কেষ্ট। নতুন বছরেও তাঁকে তিহাড়েই থাকতে হবে। তাঁর মেয়ে সুকন্যা এবং সায়গল হোসেনও আদালতে একই আবেদন করেছেন। অর্থাৎ সশরীরে হাজিরা নয়, ভার্চুয়ালি করলে ভাল হয়। সূত্রের খবর, আজ তিনজনই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ বিশেষ ইডি আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরার আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেছে আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত সুকন্যা, সায়গল এবং অনুব্রত ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দেবেন। এই আবেদনের কোনও বিরোধিতা করেনি ইডি। সেখানে শীতে কাবু হওয়ার কথাই বলা হয়েছে।

অন্যদিকে নয়াদিল্লির ঠাণ্ডায় থাকতে অভ্যস্ত নন কেউ। বাংলায় এত ঠাণ্ডা পড়ে না। একটা আমেজ থাকে মাত্র। সেখানে নয়াদিল্লির ঠাণ্ডা বেশ কড়াই। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বোলপুরে ফেরার আশা ক্ষীণ সেটা বুঝতে পারছেন কেষ্ট। খবর পাচ্ছেন কাজল শেখের উত্থানের। তাঁর অনুগামীরা এখন কোণঠাসা। যদিও তাঁর মতো করেই এবার জেলায় প্রচার করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পঞ্চায়েত, লোকসভা কোনও নির্বাচনেই থাকতে পারবেন না অনুব্রত মণ্ডল বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে শরীরের থেকে মানসিক অসুস্থতা বেড়েছে। কবে জেলের বাইরে মুক্ত আকাশ দেখতে পাবেন?‌ এটা ভাবিয়ে তুলেছে তাঁকে।

আরও পড়ুন:‌ লোকসভা নির্বাচনের জন্য ১৫ জনের কমিটি গড়লেন শাহ–নড্ডা, কত আসন টার্গেট?‌

এমনিতেই অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু কিছুতেই জামিন পাচ্ছেন না। প্রভাবশালী বলে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর অনেক সময় কেটে গেলেও তিহাড়ই তাঁর এখন স্থায়ী ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার এবং তাঁর স্ত্রী তানিয়া জামিন পেয়েছেন। তাহলে কেষ্ট কেন জামিন পাবেন না?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।