Memory loss after headache: তীব্র মাথা ব্যথা, নিমেষে মুছে গেল তিরিশ বছরের স্মৃতি

হিন্দি বা বাংলা সিরিয়ালে স্মৃতিলোপের ঘটনা আকছার হয়। হঠাৎ করে কেউ পড়ে গেল বা বড় দুর্ঘটনা হলে অবধারিত ভাবেই স্মৃতিভ্রষ্ট হবেই। আবার কিছুদিন পরে গল্পের খাতিরে সেই স্মৃতি ফিরেও আসে। কিন্তু এবার এমন একটি খবর পাওয়া গেল মার্কিন মুলুক থেকে যা সিনেমাকেও ছাপিয়ে গেল। তীব্র মাথাব্যথার পর জীবনের তিরিশ বছরের ইতিহাস বিস্মৃত হয়েছেন এক মহিলা। 

পাঁচ বছর আগে এই ঘটনা হয়েছে কিম ডেনিকোলা-র সঙ্গে যিনি তীব্র মাথাব্যথায় ভুগছিলেন বলে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিম জেগে ওঠার পর তিনি ভেবেছিলেন, ১৯৮০-তে বসে আছেন। সম্প্রতি ডাব্লুএএফবি-র সঙ্গে আলাপচারিতায় কিম জানিয়েছেন, এই অদ্ভুত ঘটনার কারণে কীভাবে তাঁর জীবন চিরতরে বদলে গেল।

তার স্মৃতি মুছে যাওয়ায় কিম গত কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া সমস্ত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে এখন সড়গড় হচ্ছেন। এই উৎসবের সময়টা পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করতেও মুখিয়ে আছেন তিনি।  ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও স্ক্যান করা সত্ত্বেও কিমের কী হয়েছে সে বিষয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত নন। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তার স্মৃতি ফিরে আসেনি।

কিম বলেন, ‘ ডাক্তাররা আমাকে বলেছে, যদি এখন পর্যন্ত আমি স্মৃতি না ফিরে পেয়ে থাকি, সম্ভবত আর সেটা ফিরে আসবে না।’  কিম নিয়মিত ডায়রি লিখতেন ও জীবনের বিভিন্ন টুকরো টুকরো ঘটনার কথা তিনি সেখানে লিখে রেখেছেন। কিন্তু আক্ষেপের সুরে এই মার্কিন মহিলা জানিয়েছেন যে জার্নালগুলি পুনরায় পড়েও তাঁর কিছু মনে পড়ছে না, বরং মনে হচ্ছে অন্য কোনও ব্যক্তির জীবনের কাহিনি তিনি পড়ছেন। হতাশ হয়ে ডায়রির কিছু পাতা ছিঁড়েও ফেলেছেন তিনি। 

তবে নতুন বছরে পুরনোকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে চান না কিম। নতুন স্মৃতি তৈরিতে আগ্রহী তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে। তাঁকে এই অবস্থায় কেন রেখে দিয়েছেন ভগবান, কোনও না কোনও দিন তার উত্তর তিনি পাবেন বলে বিশ্বাস বছর ষাটের কিমের। কোনও অবস্থাতেই যে হাল ছাড়া উচিত নয়, তিনি মানুষকে সেই প্রত্যয় জোগাতে পারবেন, এতেই জীবনের মানে খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। আর আশা করছেন একটা ক্রিস্টমাস মিরাক্যালের।