২০২২ সালে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে: বিবিএস

২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০২২’ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের হার জাতীয় পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। এরমধ্যে পল্লী এলাকায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ দারিদ্র্য রয়েছে। যেখানে ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। পল্লী এলাকায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে কমেছে। নিম্ন দারিদ্র্য রেখা ব্যবহার করে ২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার জাতীয় পর্যায়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, পল্লী এলাকায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে ২০১৬ সালে নিম্ন দারিদ্র্য রেখা ব্যবহার করে অতি দারিদ্র্য ছিল জাতীয় পর্যায়ে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, পল্লী এলাকায় ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ব্যাক-ক্যালকুলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে এইচআইইএস ২০১৬ সালে অতি দারিদ্র্য ছিল ৯ দশমিক ৩ শতাংশ (নিম্ন দারিদ্র্য রেখা)।

সুতরাং দেখা যায়, বাংলাদেশে ২০১৬ থেকে ২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে কমেছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. কাউছার আহমেদ, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ দারিদ্র্য হার পাওয়া গেছে। আগে কুড়িগ্রামে সর্বোচ্চ দারিদ্র্য হার থাকলেও এবার সেটি বরিশালে গেছে। উচ্চ ও নিম্ন উভয় দারিদ্র্য রেখার মাধ্যমে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্য বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে ২১ দশমিক ১১ শতাংশ ব্যক্তি মাঝারি বা মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। যেখানে ২০২২ সালে পল্লী এলাকায় এ হার ছিল ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দেশে ২০২২ সালে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষ মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ছিলেন।