Period Cramps: পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে চান? খাদ্যতালিকা বদলান আজই, রাখুন এই সব খাবার

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পিরিয়ডের সময়ে সঠিক পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। গবেষকরা জানাচ্ছেন এই সময়ে সঠিক খাদ্য গ্রহণ ও কিছু খাবারকে এড়িয়ে চললে যা, শারীরিক প্রদাহ কমায় তা পেটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে৷ যেসব খাবার পিরিয়ডের ব্যথা বা ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। পিরিয়ডের সময়ে আপনারা খাদ্য তালিকায় ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখবেন। আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এবং স্যামন, হেরিং, সার্ডিনস, ম্যাকেরেল প্রভৃতি সামুদ্রিক মাছে ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর পরিমাণে থাকে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ধরণের খাবার ব্যথা কমাতে পারে এবং বেদনাদায়ক পিরিয়ডকালে মহিলাদের ব্যথার উপশমে দারুণ কাজ করে।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার আপনার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। স্যামন, টুনা এবং ম্যাকেরেল, সেই সঙ্গে মাছের লিভার তেল। মাংসের লিভার, ডিমের কুসুম এবং পনিরেও অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি ১৫-১২০ মিনিটের জন্য সরাসরি সূর্যালোকে থাকলে আপনারা শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ হতে পারে। ২০২৩ সালের একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে মহিলারা সপ্তাহে ৫০,০০০ আইইউ (আন্তর্জাতিক ইউনিট) এর বেশি ভিটামিন ডি গ্রহণ করেছেন, তারা পিরিয়ডের ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছে।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আপনার জন্যে সহায়ক। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদাম (বিশেষ করে হেজেলনাট এবং চিনাবাদাম), পালং শাক, ব্রকলি, কিউইফ্রুট, আম, টমেটো প্রভৃতি।

প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন: প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে চিপস, বিস্কুট, ডোনাট, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং কোমল পানীয়। ২০০৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কিশোরী মহিলারা সপ্তাহে দুই দিন বা তার বেশি সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়েছেন, তাদের তুলনায় যারা খায়নি তাদের তুলনায় বেশি পিরিয়ড ব্যথার কথা জানিয়েছেন। অতএব, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বিবেচনার বিষয় হতে পারে।

অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন: মাসিকের সময় অ্যালকোহল সেবন অস্বস্তি বাড়াতে পারে। তাই এটি এড়ানো উচিত। পিরিয়ডের সময় অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে তলপেট ফুলে যেতে পারে। এটি পিরিয়ড অনিয়মিত এবং শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়াতে পারে। এটি মাসিকের কষ্ট আরও বৃদ্ধি করতে পারে।

ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন: মাসিকের সময় ক্যাফেইনের পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। যদিও ক্যাফেইন পিরিয়ডের উপর সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলে না। তবে অতিরিক্ত কফি সেবন আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং এটি মাসিকের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি যদি উপযোগী খাদ্যতালিকাগত পরামর্শ বা মাসিক স্বাস্থ্যের খাবারের পরিকল্পনা খুঁজছেন, তাহলে একজন ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলুন।