অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আসা হচ্ছে, চিংড়িহাটাকে যানজটমুক্ত করতে নয়া পদক্ষেপ

ব্যস্ততম রাস্তা এবং পথ দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তা দুটোই এক। হ্যাঁ, সেটা হল ইএম বাইপাস। এখানে সরকারি–বেসরকারি একাধিক অফিস থাকায় এটাও অফিসপাড়া হয়ে গিয়েছে। আর তাই সপ্তাহের প্রত্যেকদিনই বেশ ব্যস্ত থাকে চিংড়িহাটা মোড় এলাকা। এটা একটা জংশনও বলা যেতে পারে। এখান দিয়ে বাস সল্টলেকের ভিতরে যায়। আবার এখান থেকে সর্বত্র যাওয়ার বাস মেলে। চিংড়িহাটায় এই কারণে নিত্য যানজট লেগেই থাকে। এই নিয়ে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ নতুন নয়। এমনকী চিংড়িহাটা মোড় এলাকায় একাধিক পথ দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছিলেন আমজনতা।

এদিকে তা বলে ঝুঁকি, আতঙ্ক নিয়েই কি মানুষ যাতায়াত করবেন?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঝুঁকি যাতে কাটিয়ে ওঠে যায় তার জন্য বৈঠক করলেন এডিজি ট্রাফিক সুপ্রতিম সরকার, বিধাননগর কমিশনারেটের সিপি গৌরব শর্মা–সহ কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আজ, শুক্রবার লম্বা সময়ের বৈঠক করার পর চিংড়িহাটা থেকে নিউটাউন বিশ্ববাংলা গেট পর্যন্ত রাস্তা পরিদর্শন করেন পুলিশ কর্তারা। আসলে উৎসবের মরশুমে ভিড় বেড়েছে। একদিকে নিত্যযাত্রী যাঁরা অফিসে আসেন–যান। আবার উৎসবে যোগ দিতে বাইপাস ধরে যেসব মানুষজন শহরে ঢুকছেন তাঁরাও আছেন। সুতরাং পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতেই এই বৈঠক করা হয়েছে।

অন্যদিকে চিংড়িহাটা মোড়ে বারবার পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এমনকী একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উষ্মাপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। এই যানজটের ঘটনা এড়াতে তারপর থেকে একাধিকবার বৈঠকও হয়। আজ সেটারই উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক আয়োজিত হল। দীর্ঘ বৈঠক করার পর তাঁরা বিশ্ববাংলা সরণি পরিদর্শন করেন। চিংড়িহাটা থেকে নিউটাউন বিশ্ববাংলা গেট পর্যন্ত সরেজমিনে দেখেন। যানজট এবং পথ দুর্ঘটনা কমাতেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ শনিবার ১০ ঘণ্টার পাওয়ার ব্লক থাকবে, ট্রেনগুলি বাতিল থাকায় শিয়ালদা–লালগোলা লাইনে ভোগান্তি

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০২৪ সালে চিংড়িহাটাকে পথ দুর্ঘটনামুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক সিগনালিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্পিড ব্রেকার এবং আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। তাতে বেপরোয়া গতির গাড়ি রোখা যাবে এবং বাড়তি নজরদারি রাখা যাবে। আবার চিংড়িহাটা মোড় এলাকায় কোনওভাবেই যাতে যানজট তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা যাবে। কলকাতায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশের নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। চিংড়িহাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। বামফ্রন্ট জমানায় এই উড়ালপুল তৈরি হয়েছিল। আর উড়ালপুলের নকশাতে ত্রুটি ছিল বলে দাবি করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।