Matua Mahasangha on Ram Mandir: ‘রামমন্দিরে পুজো দেবে না কোনও মতুয়া’, নাগরিকত্ব ইস্যুতে হুঁশিয়ারি মহাসংঘের নেত্রীর

নাগরিকত্ব না পেলে আমরণ অনশনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া সমাজের অন্যতম নেত্রী মমতাবালা ঠাকুর। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের মহাসমাবেশ মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সভানেত্রী মমতাবালা ঠাকুর। পাশাপাশি নাগরিকত্ব না পেলে মতুয়ারা কোনও দিনই রামমন্দিরে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন মমতাবালা ঠাকুর। (আরও পড়ুন: সিএএ নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ, মতুয়াদের অনুষ্ঠানে মেজাজ হারিয়ে তেড়ে গেলেন শান্তনু ঠাকুর)

মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তাই আমরা এখন উদ্বাস্তু। আমরা এনআরসি হতে দেব না। ২০২৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মতুয়া সমাজ ও বাঙালিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই লড়াই সবার। মতুয়ারা উজ্বাস্তু নয়। এই দেশেরই নাগরিক। তাই নাগরিকত্ব না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবে মতুয়া সমাজ।’ এদিকে নাগরিকত্বের দাবিতে আগামী জানুয়ারি মাসে ঠাকুর নগরে শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির সামনে গিয়ে সমাবেশ করা হবে বলেন জানান মমতাবালা।

জনসভায় মমতাবালা বলেন, ‘মোদীজিকে বলি এই সমাবেশ ট্রেলার। বীণাপানি দেবীর নানে শপথ করে বলছি অন্যায় হলে মতুয়ারা ডঙ্কা নিয়ে দিল্লি যাবে। দেশ ভাগের চেষ্টা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধিক্কার জানাই। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সময়ের কাগজ আমরা বের করেছি, সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে আমাদের এই দেশ থেকে কেউ তাড়াতে পারবে না। আমাদেরকে এখন অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে। বিজেপির ঝান্ডা আপনারা নিন, আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখুন যারা প্রকৃত মতুয়া, তারা বিজেপি করতে পারে না।’

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, ‘রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিতে চেয়েছিলাম। সরকার আসবে যাবে। কিন্তু আইন থাকবে। দরকারে আমাদের গুলি করে মারুন। কিন্তু তিলে তিলে মারতে পারবেন না। রাজ্যপালকে ইমেল করেছিলাম, সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু অনুমতি দেননি। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমাদের অধিকার নিয়ে খেলা করার কারও অধিকার নেই। আমরা দিল্লি যাব। অনশনে বসব। মোদী বা অমিত শাহ এমন কিছু করবেন না, যাতে আরও একটা বাংলাদেশ তৈরি হয়।’

এদিকে শান্তনুকে আক্রমণ শানিয়ে মমতাবালা বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর এই বংশের কুলাঙ্গার। কে তোমায় অধিকার দিল রাম মন্দিরের জন্য এখানকার জল মাটি পাঠাতে? সেই জল-মাটি ফেলে দেওয়া হল। কে বলেছিল পাঠাতে? এর জবাব শান্তনু ঠাকুর পাবে। সে নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিকে মিথ্যা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে। বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে মতুয়ারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা ভারতের মূল বাসিন্দা, আদি বাসিন্দা। সেই আমাদের আইন করে নাগরিকত্ব দিতে হবে? এইসব আমরা মেনে নেব না। দরকার হলে দিল্লিতে গিয়ে অনশনে বসব।’