বাড়ি ফিরলেন বিএনপির দুই নিখোঁজ নেতা

বগুড়ার কাহালু উপজেলা বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতা আনোয়ার হোসেন হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন বাড়িতে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হৃদয় ও রাতে দেলোয়ার নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেন। তবে গত ১৪ দিন কোথায় ছিলেন, সে ব্যাপারে এখনও তারা মুখ এখন খোলেননি।

কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, তারা বিএনপি নেতা হৃদয়ের বাড়ি ফেরার কথা শুনেছেন।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন দাবি করেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গত বুধবার রাতে বিএনপি ওই দুই নেতাকে ঢাকা থেকে বগুড়ার বাসে তুলে দেন। এর আগে তাদের কাছ থেকে ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী, সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লা গত ১১ ডিসেম্বর গণসংযোগ করতে কাহালুর তিনদীঘি বাজার এলাকায় যান। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালায় ও গাড়ি ভাংচুর করেন। এতে জিয়াউলসহ তিনজন আহত হন। এ ব্যাপারে তিনি কাহালু থানায় সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর তিনদিনের মাথায় ১৪ ডিসেম্বর বিকালে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বগুড়ার শেরপুরের পল্লী উন্নয়ন একাডেমি থেকে কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক হৃদয়কে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওইদিন রাত নয়টার দিকে দুপচাঁচিয়ার সিও অফিস মোড় এলাকা থেকে বীরকেদার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ারকে তুলে নিয়ে যাওয়া যায়। নিখোঁজের ঘটনায় দুই নেতার পরিবার শেরপুর ও দুপচাঁচিয়া থানায় জিডি করেন। তারা দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লার ইন্ধনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে গেছে। তবে বগুড়ার শেরপুর ও কাহালু থানার কর্মকর্তারা দুই বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেন।

সন্ধান না পাওয়ায় বিএনপি নেতাদের পরিবারের সদস্যরা গত ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। পরদিন হাইকোর্টের বেঞ্চ আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিএনপি নেতা নিখোঁজের ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শকে নির্দেশ দেন।

ওইদিন রাতেই দুই নিখোঁজ নেতার সন্ধান পাওয়া যায়। তারা ফোনে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন।

বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন জানান, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা হৃদয় ও দেলোয়ারকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ বিষয়ে কথা বলবেন।

শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, হৃদয়কে থানায় আসতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি আসেননি।