New year crowd: নতুন বছরে দর্শক টানার দৌড়ে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে পিছনে ফেলে দিল ইকোপার্ক

আরও একটা নতুন বছর। বাঙালির আসলে বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পরে বড় পার্বণ বলতে বড়দিন আর নতুন বছর উদযাপনের আনন্দ। এই আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিবারের মতো এবারও বছরের প্রথম দিনে কলকাতার প্রায় সমস্ত দর্শনীয় স্থানে উপচে পড়া ভিড় হয়েছে।এই দিনটিতে আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে একসঙ্গে ঘুরতে ভালোবাসেন আমজনতা। যার মধ্যে কেউ পরিবারের সঙ্গে কেউ বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে, আবার কেউ প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে দর্শনীয় স্থান ও বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে ভিড় করেন। আর সেই ভিড়ের একটা বড় অংশ আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে শুরু করে ইকো পার্কে। 

আরও পড়ুন: মহাকাশে ১৬ বার নতুন বছরকে বরণ করেন মহাকাশচারীরা, কেন জানেন?

বড়দিন থেকে শুরু করে বর্ষবরণের দিন দর্শক সংখ্যার বিচারে আলিপুর চিড়িয়াখানা ইকোপার্কের থেকে এগিয়ে থাকলেও নতুন বছরের প্রথম দিনেই চিড়িয়াখানাকে হারিয়ে দিল ইকো পার্ক। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম জানুয়ারি সেখানে ৮৪ হাজার ৮০০ দর্শক হয়েছিল। পরপর তিন দিন ছুটি থাকার কারণে শনিবার সকাল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বহু মানুষ। যদিও শীতের আমোজ সেই সময়টা ছিল না। তবে কোনওভাবেই মানুষের আনন্দে ঘাটতি পড়েনি। শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বিশেষ করে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, জাদুঘরে এদিন জনজোয়ার দেখা দিয়েছিল। অন্যদিকে, ইকোপার্কে এদিন ৯১ হাজার ৩৯৭ জন দর্শকের ভিড় হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে দর্শক সংখ্যার বিচারে ইকোপার্ক চিড়িয়াখানার থেকে কতটা এগিয়েছিল।

অন্যদিকে, এদিন ভিক্টোরিয়াতে ভিড় হয়েছিল ৪১ হাজার ৪৩৮ জন দর্শকের। সাইনসিটিতে ৩২ হাজার ৫৯৫ জন, আলিপুর সংগ্রহশালয়ে ৭ হাজার ৮৪১ জন, ভারতীয় জাদুঘরে ৬,৫৫২ জন, নিকো পার্কে ছিল ১০ হাজার দর্শক। অন্যদিকে, নিউটাউনের মিনি চিড়িয়াখানায় ৭,২৯৫ জন মানুষের ভিড় হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এবার পুলিশের তরফে নজরদারি বহু গুণে বাড়ানো হয়েছিল। পার্কস্ট্রিটে একটি বিশেষ লেন দিয়ে হাঁটার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর জেরে আরও সুবিধা হয়েছে আমোদপ্রিয় জনতার। হই হুল্লোড় হয়েছে তবে একেবারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এতে খুশি ব্যবসায়ীরা। কলকাতার পাশাপাশি জেলার দর্শনের স্থানগুলিতেও ভালোই ভিড় হয়েছে।