Jharkhand Politics Update: শীঘ্রই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হবেন হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী, বিস্ফোরক মহুয়াকে ঘোল খাওয়ানো সাংসদ

কয়েক দশক আগে বিহারে লালু প্রসাদ যাদব নিজের স্ত্রী রাবরি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। এবার সেই পথেই নাকি হাঁটতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সম্প্রতি দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে পড়েছেন হেমন্ত সোরেন। একাধিক বার তাঁকে তলব করা হয়েছে জেরার জন্য। এরই মাঝে আবার সদ্যই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এক বিধায়ক পদত্যাগ করেন বিধানসভা থেকে। এই সবের মাঝে এবার গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করলেন, হেমন্ত সোরেন শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এরপরই নাকি হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। (আরও পড়ুন: নবম ও দশমের পড়ুয়াদের এবার কিনতে হবে নতুন সংস্করণের ৫টি বই, জানাল পর্ষদ)

আরও পড়ুন: আবারও দুর্নীতির অভিযোগ বঙ্গে, এবার প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের গান্ডে কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সরফরাজ আহমেদ। নিজের পদত্যাগপত্রে তিনি দাবি করেছিলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন। তাঁর সেই পদত্যাগপত্র চটজলদি গ্রহণ করা হয়। যা নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। পরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমে সরফরাজ দাবি করেন, দলের সঙ্গে তাঁর কোনও তিক্ততা নেই। উল্লেখযোগ্য ভাবে তিনি বলেন, ‘দল এবং জোট সরকারকে আরও শক্তিশালী করতেই আমি পদত্যাগ করেছি।’ তাঁর এই মন্তব্যের পর আরও জল্পনা তৈরি হয়। এরই মাঝে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেন, সরফরাজের গান্ডে কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে বিধায়ক হতে পারেন হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী। এবং পরবর্তীতে তিনিই হবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, হেমন্ত সোরেন আশঙ্কা করছেন যে ইডি শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। এই আবহে তিনি গ্রেফতার হলে নিজের স্ত্রীকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসাবেন। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ নিশিকান্ত দুবে পোস্ট করে লেখেন, ‘ঝাড়খণ্ডের গান্ডের বিধায়ক সরফরাজ আহমেদ বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং তাঁর পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। শীঘ্রই হেমন্ত সোরেনও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনজি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।’ এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন নিশিকান্ত দুবে। এই নিয়ে বিজেপি সাংসদের দাবি, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা গঠিত হয়েছে। আর সরফরাজ পদত্যাগ করেছেন ৩১ ডিসেম্বর। এই আবহে একবছরেরও কম সময় বাকি বিধানসভার মেয়াদ। এই আবহে এই সময়কালে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।

এর আগে হেমন্ত সোরেনকে ৬ দফায় জেরার জন্য তলব করেছিল ইডি। এরই মাঝে ইডি এক নয়া নির্দেশিকায় হেমন্ত সোরেনকে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছে তাঁর বয়ান রেকর্ড করার জন্য। এদিকে ইডির তলবের বিরোধিতায় হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ছুটেছেন হেমন্ত। তবে সব ক্ষেত্রেই তাঁর আবেদন খারিজ হয়েছে। হেমন্তের অভিযোগ, ২০২৩ সালের আগে বিরোধী নেতাদের ইচ্ছে করে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।