নবীনদের ক্ষমতা দেওয়া মানে বাঁদরকে নারকেল দেওয়ার সমান, বেঁফাস TMC MLA, তোপ কুণালকে

আবারও প্রকট হয়ে উঠেছে তৃণমূলের নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব। গত কয়েকদিন ধরেই এনিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই আবহে নবীন–প্রবীণ বিতর্ক নিয়ে এবার বেফাঁস মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি মন্তব্য করেছেন, নবীনদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া আর বাঁদরদের হাতে নারকেল দেওয়া হল একই বিষয়। একইসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ‘নাবালক’ , ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে কটাক্ষ করেছেন আব্দুল করিম। যেখানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করছেন ঠিক সেই আবহে দলের প্রবীণ বিধায়কের এরকম মন্তব্যে আরও অস্বস্তি বেড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের।

আরও পড়ুন: নবীন-প্রবীণ বিতর্কের মধ্যে আসল ও নকল তৃণমূলের কথা বললেন সায়নী

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রবীণ ছাড়া কোনও দল কেন রাজ্য বা দেশ চলবে না। নবীনদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া মানে বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়ার সমান।’ এরপরেই তিনি সরকারি কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘মমতাদির উচিত ছিল অনেক আগেই ওকে বরখাস্ত করা। উনি দলের সেনাপতি আছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে ই উনি অনেক ধরনের কথা বলছেন। মমতাদিকে আগে বলেছিলাম ওকে সঙ্গে রাখুন। কিন্তু বেশি ক্ষমতা দেবেন না। কুণাল ঘোষ এখনও বাচ্চা, নাদান, নাবালক আছেন।’ 

এই সুযোগে হাতিয়ার করে পালটা তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের দলে একটি পোস্ট রয়েছে। যেমন রাজাদের ক্ষেত্রে তার পরবর্তী প্রজন্ম শাসন করেন তৃণমূলে ঠিক সেইরকমই। নবীন আর প্রবীণ মধ্যে দাম দরাদরি চলছে। মাল কে কতটা ভাগ পাবে? তাই নিয়ে চলছে লড়াই। আব্দুল করিমের কাছে মাল এসে পৌঁছচ্ছে না। তার জন্য তিনি এরকম করছেন। আবার মাল পৌঁছলে তিনি ঠান্ডা হয়ে যাবেন।’ অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘দ্বৈতদের মধ্যে সংঘাত লেগেছে। আরও অনেক কিছু ঘটনা হবে। এখনও তো কেউ খুন হয়নি। পরবর্তীকালে সেটাও হবে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেস।’ 

প্রসঙ্গত নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার পরেই কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার উপরে। তিনি নেত্রী, তাঁর কথা সবাই শুনবেন। একইসঙ্গে প্রবীণদের জায়গা ছাড়া উচিত বলেও তিনি বুঝিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, নবীন প্রবীণদ্বন্দ্বে বারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের ব্যাপারটা দলকে বুঝে নিতে দিয়ে তাঁকে নিজের এলাকা সামলাতে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ।