‘‌আইনি জট কাটলে একসপ্তাহে নিয়োগ করে দেব’‌, চাকরিপ্রার্থীদের বড় বার্তা ব্রাত্য বসুর

আগে বৈঠক হয়েছিল। তাতে আশার আলো মিলেছিল। এবার সেই আশার আলো নতুন সূর্যোদয়ের পথ দেখাল। চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে এবার বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন, আইনি জট কেটে গেলেই, একসপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। ২০২৪ সালের শুরুতেই উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় খবর শোনালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। উচ্চপ্রাথমিক স্তরে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরেই চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীদের প্রথম দফার কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে। তার মধ্যেই মিলল সুখবর।

এদিকে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা নতুন বছরের শুরুতে আবার আন্দোলনের পথে নামতে পরিকল্পনা করেছেন। তাই বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজপথে তাঁদের মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‌পুরোটাই তো আদালতে আটকে আছে। আমরা কী করতে পারি! বিভিন্ন পর্ষদের আইনজীবীরা আদালতে আবেদন করছেন। শীঘ্রই এই জট ছাড়িয়ে আনা যাবে। যেদিন জট ছাড়াতে পারব, তার একসপ্তাহের মধ্যে আমরা নিয়োগ করে দেব।’‌

অন্যদিকে রাজ্যে এখন প্রাথমিক থেকে শুরু করে এসএসসি পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ আটকে আছে। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে কলকাতার রাজপথে। তাতে খারাপ বার্তা যাচ্ছে মানুষের কাছে। এই প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এমন নিয়োগের দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আইনি জট কাটার একসপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের বন্দোবস্ত করার সময়সীমা জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু। তবে চাকরিপ্রার্থীদের কলকাতায় মিছিলের জেরে ধর্মতলা থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যানজট দেখা দেয়।

আরও পড়ুন:‌ চটকল শ্রমিকদের পদন্নোতি–মজুরি বৃদ্ধিতে নতুন চুক্তি, মিটল পিএফ সমস্যাও

এছাড়া রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের জট কাটাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ডিসেম্বর মাসেও আন্দোলনরত এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে করেছিলেন ব্রাত্য বসু। চাকরিপ্রার্থীরা অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা যায়। তবে ব্রাত্য় বসু জানান, কোনও নির্দিষ্ট দিনের কথা বলতে পারছেন না তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি চাইছেন, সে কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌আমরা আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি। আদালত একপ্রস্থ বলে দিয়েছে। আমাদের আদালত যা আদেশ দেবে সেটা মেনে কাজ করব।’‌