ভোটের দিন-সহ পর পর তিনদিন দেশ জুড়ে হরতালের ডাক দিল বিএনপি। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনার পারদ এখন চরমে। স্থামীয় প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য বুধবার থেকেই সেনাবাহিনীর মাঠে নামানো হয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপির এই হরতালে নতুন করে অশান্তি সম্ভাবনা তৈরি হল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউটিউবে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এই হরতালের ঘোষণা করেছেন। শনিবার ৬ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেছে বিএনপি। রিজভী জানিয়েছেন, এর ভুল করে ৬ ডিসেম্বর হরতাল ঘোষণা করা হয়েছিল। তা তিনি বৃহস্পতিবার সংশোধন করেন নেন।
এছাড়া আলাদা একটি প্রেস রিলিজে ৫ জানুয়ারি মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ‘অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন-কালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুন:প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে শুক্রবারের কর্মসূচি’।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে জুড়ে বিএনপি ও তার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের ১৮৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট ১১টি মামলায় ৯৩৮ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহা-সমাবেশের পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। পরে আরো কয়েক দফায় হরতাল ডাকে তারা।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ নিয়ে প্রশ্ন
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থা সুজনের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কৃত্রিম আবহ তৈরি করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে আইনগতভাবে বৈধতা পেলেও এই নির্বাচন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলেই মনে করে তারা।
নির্বাচন নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি মনে করে, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিযোগিতা নেই বরং যারা অংশ নিচ্ছে তারা প্রায় সকলেই পরস্পরের মিত্র। নির্বাচনটির অভিনবত্ব হলো আওয়ামি লিগেরই স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থী।’
বিদেশি কূটনীতিদের প্রশ্নের উত্তর
জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন ওঠে, ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের ওপর সরকার বা নির্বাচন কমিশন চাপ দিচ্ছে কি না? নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটারদের চাপ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে নির্বাচন আয়োজনের অংশ হিসেবে কমিশন সাধারণত ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের সচেতন করার কাজ করে থাকে।
এ দিনে বৈঠকে রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি-সহ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিত থাকলেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ছিলেন না। তবে তাঁদের পক্ষে অন্য কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।