অবিলম্বে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করুন – রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ‘বাদশা’-কে নিয়ে রাজভবনের পিসরুমে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে যে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন শাহজাহান। জঙ্গিদের সঙ্গেও যোগ আছে তৃণমূল নেতার। সেই পরিস্থিতিতে তাঁকে যাতে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। শাহজাহান কোথায় আছেন, তাও স্পষ্ট নয়। তবে শনিবার সন্ধ্যায় গোপন ডেরা থেকে একটি অডিয়োবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘একদিন সকলেরই মৃত্যু হবে, তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগে আর পরে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকলের কাছে আমার অনুরোধ, সিবিআই এবং ইডিকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ওরা মনে করছে যে আমায় দমিয়ে দিতে পারলেন সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস দুমড়ে যাবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার-হাজার শেখ শাহজাহান আছে।’
শাহজাহানের সেই অডিয়োবার্তা যখন সামনে এসেছে, সেটার কিছুক্ষণ আগেই রেশন দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘লুক-আউট’ নোটিশ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অনুমান, বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন শাহজাহান। সেই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনা লাগোয়া সীমান্তে বিএসএফকে বাড়তি সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। শাহজাহানের হদিশ পেতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে অন্যান্য এজেন্সিরও। তবে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের হদিশ মেলেনি বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Sheikh Shahjahan: বাম যুগের ‘ফসল’, নুসরতের জয়ের ‘হিরো’- কোন শাহজাহানের ডেরায় গিয়ে রক্তাক্ত হল ED?
সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শুক্রবার থেকেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সন্দেশখালিতে তাঁর বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা। যিনি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া না যাওয়ায় তাঁর বাড়ির দরজার ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।
অভিযোগ উঠেছে যে ইডি আধিকারিকদের মারধর করেছে শাহজাহানের অনুগামীরা। তাঁদের তাড়া করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এক ইডি অফিসারের। ভাঙচুর চলে ইডি অফিসার এবং সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে। প্রাণভয়ে অটো ধরে পালাতে বাধ্য হন ইডি অফিসাররা। সেই সুযোগ বাইকে চেপে শাহজাহান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: FIR against ED in Sandeshkhali incident: হাসপাতালে ৩ অফিসার, সন্দেশখালির সেই ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধেই FIR পুলিশের!