Pakistan General Election Latest Update: পিছিয়ে দেওয়া হোক ভোট, ১০০ সদস্যের পাক সেনেটে ১৫ জনের উপস্থিতিতে পাশ প্রস্তাব!

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পাকিস্তানে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সেদেশের রাজনৈতিক নেতারা। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিলাওয়াল ভুট্টো থেকে নওয়াজ শরিফ। এদিকে ইরমান খানের মনোনয়নই খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই সবের মাঝেই এবার সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে প্রস্তাব পাশ করানো হল পাকিস্তানের সেনেটে। পাকিস্তানের সংসদের উচ্চ কক্ষ সেনেটের মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। শুক্রবার সেনেটে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৫ জন। সেই ১৫ জন উপস্থিতিতেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করায় সেনেট। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সেনেটর দিলাওয়া খান ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন সেনেটে। ১৫ সেনেট সদস্যের উপস্থিতিতে সেই প্রস্তাব পাশও হয়ে যায় সংসদের উচ্চকক্ষে। (আরও পড়ুন: নয়া বছরে আমেরিকায় আবারও ‘হামলা’ হিন্দু মন্দিরে, আঙুল উঠল খলিস্তানিদের দিকেই)

ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সেনেট সদস্যদের যুক্তি, দেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার প্রাণসংশয়ের রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাছাড়া দেশের আবহাওয়াও খুব খারাপ। এই আবহে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা কঠিন বলে দাবি করেন প্রস্তাব পেশ করা দিলাওয়ার খান। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছে, দেশের তাবড় রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা হতে পারে। এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জঙ্গি হামলার সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং দক্ষিণপশ্চমের বালোচিস্তান প্রদেশে নির্বাচনী সভাকে নিশানা করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

এদিকে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর সেনেট চেয়ারম্যান অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোটাভুটির সময় সেনেটে উপস্থিত ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১ জন এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এদিকে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি-র সেনেট সদস্যরা এই ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন।

প্রসঙ্গত, গতবছর নভেম্বরেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানায়, জনসংখ্যার ভিত্তিতে নতুন করে আসন বিন্যাসে সময় লাগবে। এই আবহে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়। এই আবহে এখন সেদেশ চালাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এদিকে পিটিআই প্রধান তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছেন, ৮ ফেব্রুয়রির নির্বাচন হয়ত হবে না। আর তাঁর দাবি, যদি সেদিন নির্বাচন হয়, তাহলে তা ভয়ানক হবে। তাঁর দল পিটিআই-কে নির্বাচনের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।