Tele-cardiology service:স্থানীয় হাসপাতালেই মিলবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, চালু হচ্ছে টেলি-কার্ডিওলজি পরিষেবা

হৃদরোগের চিকিৎসার এবার টেলি মেডিসিন পরিষেবার চালু করল রাজ্য সরকার। এর আগে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। এবার হৃরোগে সম্পূর্ণ চিকিৎসা পরামর্শ মিলবে টেলি মেডিসিন পরিষেরার মাধ্যে। এর ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত বহু দূরদূরান্তে মানুষ তাঁর স্থানীয় হাসপাতালে সেই বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা পাবেন। 

রাজ্যের ৮টি মেডিকেল কলেজের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে টেলি-কার্ডিওলজি পরিষেবা। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতে কিংবা অ্যানজাইনা অথবা হার্ট ফেলিয়োরের মতো চিকিৎসা ক্রনিক হাসপাতালেই পেয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ।

এসএসকেএম, আরজি কর, ন্যাশনাল, কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ — এই হাসপাতালগুলি মিলিয়ে টেলি কার্ডিওলজি পরিষেবা জেলা ও মহকুমা স্তরের হাসপাতালগুলিকে। এর ফলে কলকাতামুখী ভিড় কমবে এবং হাসপাতালগুলির রেফার রোগ কমবে।

কী ভাবে মিলবে চিকিৎসা

জানা গিয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতালের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া থাকে। সেই ওই কার্ডিওলজি বিভাগের ষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবে ভিডিয়ো কন্ফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া যাবে কোন রোগী জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা করতে হবে। এর ফলে সময়ও বাঁচবে চিকিৎসাও হবে উৎকৃষ্ট মানের। 

(পড়ুন। দার্জিলিং চা উৎপাদনে ভাটার টান, ৫০ বছরে এত কম উৎপাদন এই প্রথম)

স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিঠি

রাজ্যের ওই আটটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিঠি গিয়েছে বিভাগীয় প্রধানদের কাছে। যাঁর এই টেলিপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাঁদের একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। সেই তালিকায় উল্লেখ চিকিৎসার প্রটোকল এবং ডিউটি রস্টার উল্লেখ রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জানা গিয়েছে সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হবে।

ভিড় কমবে কলকাতায়

স্বাস্থ্য দফতরের এই পরিষেবা চালু হলে স্বাভাবিক ভাবে কলকাতায়া ভিড় কমবে। স্থানীয় হাসপাতালে বসেই বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা মিলবে। স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, আগামী দিনে হৃরোগের সমস্যা নিয়ে জেলা থেকে কলকাতায় মূলত তাঁরাই আসবেন যাঁদের পেসমেকার বসানো, অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি, অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি কিংবা কার্ডিয়াক সার্জারির প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে কমবে রেফার রোগও।