আবাসনে চার্জিং স্টেশন গড়তে উদ্যোগ নিচ্ছে আদানি–আম্বানি গোষ্ঠী, সমীক্ষা শুরু

বাংলার বড় আবাসনগুলিতে এবার বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন গড়ার ব্যবসা শুরু করতে চায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আদানি গোষ্ঠী। এমনই খবর মিলেছে। আর তাই ১০০টির বেশি ফ্ল্যাট রয়েছে এমন পুরনো আবাসন চিহ্নিত করার কাজ চলছে। সেখানে যৌথ উদ্যোগে চার্জিং স্টেশন পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার কিছু আবাসনে শনিবার থেকে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। আপাতত এভাবে কাজ শুরু হবে। পরে সেটা বড় আকার নেবে।

এদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন গড়ার বিষয়টি শুরু হলে ধাপে ধাপে আরও এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আগে কয়েকটি সমীক্ষা চালাবে মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানির গোষ্ঠীর সংস্থা। এই সমীক্ষার পরই সামনে আসবে আসল চিত্র। অর্থাৎ কোথায় করা হবে এবং কেমন করে করা হবে। তারপর পুরো বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসা হবে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সঙ্গে। ইচ্ছুক আবাসিকদের জন্য পৃথকভাবে ‘স্লো চার্জার’ বসাবে বরাত নেওয়া সংস্থাগুলি। আর জায়গা পাওয়া গেলে সকলের জন্য একটি ‘ফাস্ট চার্জার’ বসানো হতে পারে। চার্জ দেওয়া নিয়ে ইউনিট প্রতি সংস্থাকে মাসুল দেবেন সংশ্লিষ্ট আবাসিক।

অন্যদিকে এই কাজ হলে বঙ্গের মাটিতে দূষণ কমাতে এবং জ্বালানি আমদানির খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিকল্প জ্বালানির গাড়ি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে দেশ। নিজেদের এলাকায় এবার যৌথ উদ্যোগে গাড়ির চার্জিং স্টেশন গড়ে তুলছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তবে তিন দফায় এই কাজ হবে বলে সূত্রের খবর। বিভিন্ন পুরসভার অতিরিক্ত জমিতে এভাবে ১৮৮টি চার্জিং স্টেশন গড়ার দরপত্রের কয়েকটি বরাত অন্যান্যদের সঙ্গে জিতেছে রিলয়েন্স বিপি মোবিলিটি (জিয়ো বিপি) এবং আদানি টোটাল এনার্জিস। এখানে বিষয়টি ঘটলে কর্মসংস্থানও হবে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ পাটশিল্প–সহ চটকলগুলিকে আধুনিক করার বার্তা, ‘‌বিশেষ পর্ষদ’‌ গড়তে চান পীযূষ গোয়েল

তবে নতুন পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, একশোটির বেশি ফ্ল্যাটের নতুন আবাসনে চার্জিং স্টেশন বাধ্যতামূলক। কিন্তু পুরনোগুলিতে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সমস্যা রয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, বারাসত, ব্যারাকপুর, গড়িয়া, বারুইপুর, হাওড়ার ৬০টি বড় আবাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাটি। সেখানে সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ লাটুয়া এবং বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব প্রলয় মজুমদার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি ও আবাসনে এই পরিকাঠামোর প্রয়োজন কেন সেটা তুলে ধরেন। এখন ২৬টি আবাসন সম্মতি দিয়েছে। এবার শুরু হবে সমীক্ষার কাজ। একসপ্তাহের মধ্যে সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে।