BJP Minority Morcha: রামের নামে! দরগায় মোমবাতি জ্বালাবে বিজেপির সংখ্য়ালঘু মোর্চা

রামমন্দির উদ্বোধনের দিন, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে থেকেই দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়া দরগা ও জামা মসজিদের মোমবাতি জ্বালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে বিজেপির সংখ্য়ালঘু মোর্চা। অন্তত ৩৬টি দরগাতে তাঁরা মোমবাতি জ্বালাবেন। দিল্লির একাধিক বিখ্যাত মসজিদে মোমবাতি জ্বালাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কুতুব মিনারেও মোমবাতি জ্বালাবেন তাঁরা।  ১২ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঠিক করেছেন।

মাইনোরিটি মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ১২ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে আমরা মানুষকে সচেতন করব। গোটা দেশ জুড়েই এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজামুদ্দিন দরগাতে যাবেন। জামা মসজিদ এলাকাতেও তিনি যাবেন। মোমবাতি জ্বালানোর জন্য় যা কিছু প্রয়োজন সেটা তিনি বিলি বন্টন করবেন। 

বিজেপির মোর্চার আহ্বায়ক যাশির জিলানি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, পুরুষোত্তম রাম ১৪০ কোটি ভারতীয়র কাছে আদর্শ। সংখ্যালঘু মানুষ যেখানে রয়েছেন সেখানে আমরা সচেতন করব সাধারণ মানুষকে। মুসলিমদের মধ্য়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য় আবেদন করব।

এদিকে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। একেবারে বুথস্তরে এই অনুষ্ঠানকে সম্প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

ওই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত থাকবেন। বিদেশ থেকেও অনেকেই আসবেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তবে গোটা দেশ জুড়ে এই রামমন্দিরের আবেগকে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর বিজেপির সংখ্য়ালঘু মোর্চা।

এদিকে নাজনিন আনসারি ও নাজমা পারভিন অংশ নেবেন রামজ্য়োতি বহনের অনুষ্ঠানে।। দুজনেই বারাণসীর বাসিন্দা। তাঁরা অযোধ্য়া থেকে নিয়ে আসবেন রামজ্যোতি। তাঁরা সেই রামজ্যোতি নিয়ে মুসলিম এলাকার মধ্য়ে দিয়ে যাবেন। তাঁরা কার্যত এই বার্তাই দিতে চাইবেন যে তাঁদের পূর্বপুরুষের নাম হল শ্রীরামচন্দ্র। আর প্রতি ভারতীয়র ডিএনএ হল একই।

এর আগে বাবরি মসজিদ মামলাকারী ইকবাল আনসারিকে রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবার দুই মুসলিম নারী অংশ নেবেন রামজ্যোতি বহনের অনুষ্ঠানে। কাশীর ওম চৌধুরী ও পাতালপুরী মঠের মোহন্ত বলাক দাস এই যাত্রার সূচনা করবেন। মোহন্ত শম্ভূ দেবাচার্য অযোধ্য়ায় তাঁদের হাতে রামজ্যোতি তুলে দিয়েছেন।  অযোধ্য়ার মাটি ও সরযূ নদীর পবিত্র জলও কাশীতে নিয়ে আসা হবে। ২১শে জানুয়ারি থেকে এই রামজ্যোতি বিতরণ শুরু হবে।