DYFI brigade meeting: বাবার হাত ধরেই DYFI–এর ব্রিগেডে হাজির হলেন জন্মান্ধ অনির্বাণ

যৌবনের ডাকে সাড়া দিয়ে আজ রবিবার ব্রিগেডে মহা সমাবেশ করছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। টানা ৫০ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হেঁটে ইনসাফ যাত্রা করেছেন ডিওয়াইএফআই–এর নেতৃত্ব। এই ৫০ দিন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রাপ্য আদায়ের আশ্বাস দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাই আজ ব্রিগেডের ময়দানে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ময়দান চত্বরে ভিড় করেছেন মানুষজন। এবার ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশে শরিক হলেন জন্মান্ধ অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়। প্রতিবন্ধী আন্দোলন সহ একাধিক গণ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়। এবার বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের দাবিতে তিনি ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘ভালো ব্রিগেড হবে’ সমাবেশ নিয়ে যুব উত্তরসূরিদের আর কী বার্তা দিলেন বুদ্ধদেব?

চুঁচুড়ার কামারপাড়ার বাসিন্দা অনির্বাণ বাবার সঙ্গেই ব্রিগেডে এসেছেন। সাধারণত বামেদের সমাবেশ হলেই তিনি বাবার সঙ্গে বিভিন্ন সমাবেশে পৌঁছে যান। এবার ঠিক একইরকমভাবেই বাবার সঙ্গে বামেদের সমাবেশে পৌঁছলেন অনির্বাণ। তিনি শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নন, তিনি পেশায় বলবার আলিনগর ইয়াসিন মণ্ডল স্কুলের শিক্ষক। এদিন তিনি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর বক্তব্য, যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেভাবে চোর পুলিশ খেলছে তার বিরুদ্ধে ইনসাফ চাইতে হবে।

এদিন বাবার সঙ্গে ট্রেনে করে তিনি পৌঁছন ব্রিগেডে। উল্লেখ্য, অনির্বাণের বাবা চুনিলাল মুখোপাধ্যায় নিজেও একজন বাম অনুগামী। তাঁর বয়স হল ৬৭ বছর। তবে এই বয়সেও তিনি বামেদের সমাবেশে অন্ধ ছেলেকে নিয়ে যেতে পিছপা হন না। জানা যায়, ১৯৭৭ সাল থেকে বামেদের যতগুলি ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে সব কোটিতে তিনি গিয়েছেন। তারমধ্যে অন্তত ১০টি সভায় তিনি ছেলেকে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি জানান, বাম নেতাদের বক্তব্য শোনার জন্যই তিনি সমাবেশে যান। বামেদের সঙ্গে পা মিলিয়ে ব্রিগেডের ময়দানে এর আগেও এসেছেন। আগামী দিনেও এইভাবে মানুষের দাবি আদায়ের জন্য তিনি এগিয়ে যাবেন। ছেলেকেও সেই শিক্ষাই দিয়েছেন বলে জানান।