Kolkata metro ticket: মেট্রোয় টোকেন চুরি, রুখতে সব লাইনে QR কোড ছাপা কাগজের টিকিট চালুর ভাবনা

মেট্রোর টোকেন চুরি ঠেকাতে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা স্টেশনে আগেই কিউআর কোড ছাপা কাগজের টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। পরে নতুন বছরের শুরুতে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর করুণাময়ী এবং সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনে এমন টিকিট চালু করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাফল্য পেলে আগামী দিনে মেট্রোর উত্তর দক্ষিণ বা ব্লু লাইন থেকে শুরু করে সমস্ত লাইনেই এই ধরনের টিকিট চালু করবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মূলত খরচ কমাতেই এমন চিন্তা ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।

আরও পড়ুন: ‘ঘুরছে ডলফিন’! গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো যাওয়ার সময় বাইরেটা কেমন লাগবে? রইল ভিডিয়ো

মেট্রো সূত্রের খবর, প্রতিমাসে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টোকেন চুরি হয়ে যাচ্ছে। সেই হিসেবে দেখতে গেলে করে প্রতিদিন ৫০০ টি করে টোকেন চুরি হচ্ছে। এরকম চলার ফলে সেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে মাসে পাঁচ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। কারণ এই টোকনগুলিতে বৈদ্যুতিন চিপ বসানো থাকে। ফলে সেগুলি মূল্যবান। সেই কারণে টোকেনগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। এই অবস্থায় টোকেন চুরি হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে মেট্রোকে। তাই টোকেনের পরিবর্তে কিউআর কোড ছাপা কাগজ বিক্রি হলে তার খরচ নেই বললেই চলে। সেক্ষেত্র মেট্রোর টোকেন চুরি হওয়ার ঝক্কি আর থাকবে না। 

মেট্রোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রতি ট্রেন পিছু কমপক্ষে দুটি করে টোকেন চুরি হয়ে যায়। সে হিসেবে দেখতে গেলে প্রায় ৫০০ টি টোকেন প্রতিদিন চুরি হয়ে যায়।সাধারণত, যাত্রীকে মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতে গেলে টোকেন নির্দিষ্ট যন্ত্রে স্পর্শ করতে হয়। তা না হলে বের হওয়া সম্ভব নয়। তাহলে কীভাবে তা সম্ভব হচ্ছে? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় এক যাত্রীর টোকেনেই দুইজন যাত্রী বেরিয়ে যান। ফলে টোকেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছেই থেকে যায়। অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে আবার অনেকেই অজান্তেই এরকমটি করে থাকেন বলে মেট্রোর আধিকারিকদের দাবি। আবার অনেক ক্ষেত্রেই কিছু যাত্রী একটির পরিবর্তে দুটি টোকেন কেনেন। সেক্ষেত্রে একটি টোকেন ব্যবহার করেন এবং অন্যটি স্মারক হিসেবে নিয়ে চলে যান। এরফলে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে মেট্রোর। এই অবস্থায় কিউআর কোডযুক্ত কাগজের টিকিট চালু হলে সে ক্ষেত্রে মেট্রোর ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। যত দ্রুত সম্ভব ব্লু লাইন অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং পার্পেল লাইন অর্থাৎ জোকা থেকে তারাতলাতেও একই পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি চালু হবে বলে মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে।