Mani Bhowmik: গুরুদক্ষিণা! জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে পুরস্কার, বিপুল অর্থ দান প্রবাসী বাঙালি বিজ্ঞানীর

পদার্থবিজ্ঞানী মণি ভৌমিক। ভারতেই জন্ম। থাকেন আমেরিকায়। প্রবাসী এই বাঙালি বিজ্ঞানী এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করলেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বোসের কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানিয়ে।তাঁর সম্মানে প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের ২০২৫ সাল থেকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হবে। মেডেল দেওয়া হবে। মণি ভৌমিক এই প্রকল্পে বিপুল অর্থ দান করেছেন। 

ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিকাল অ্য়ান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের উদ্যোগে এই সম্মান প্রদর্শন করা হবে। মূলত সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানীদের পুরষ্কৃত করা হবে। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর নামেই এখানে সম্মান প্রদর্শন করা হবে। এদিকে এই পুরষ্কার প্রদানের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন ছিল। আর সেই অর্থ দিতে সম্মত হলেন বিজ্ঞানী মণি ভৌমিক। তিনি এই বিপুল অর্থ দান করছেন এই মেডেল দেওয়ার জন্য। মূলত গোটা বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান সাধনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য়, আরও উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাঁর এই প্রয়াস। 

এই বাংলাতেই জন্মেছিলেন মণি ভৌমিক। বর্তমানে তিনি আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকেন। লেসার টেকনোলজির উদ্ভাবন করেছেন তিনি। একাধিক পেটেন্ট রয়েছে তাঁর নামে। এই লেসার প্রযুক্তি চোখের চিকিৎসায় কার্যত বিপ্লব এনে দিয়েছে। 

মণি ভৌমিক জানিয়েছেন, আমার শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বোসের কাছ থেকে যে জ্ঞান আমি পেয়েছি সেটারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। আর সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর ছাত্র।

একেবারে গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন মণি ভৌমিক। সেখান থেকে আজ তাঁর বিশ্বজোড়া নাম। আইআইটি খড়্গপুরে প়ড়াশোনা করেছিলেন তিনি।

আমেরিকাতে একটি অনুষ্ঠানে আগামী ১২ জানুয়ারি আইইইই-এর সভাপতি তথা সিইও সইফুর রহমান এই জেসি বোস মেডেলের কথা ঘোষণা করবেন। এই মেডেলের নাম দেওয়া হচ্ছে IEEE জগদীশ চন্দ্র বোস মেডেল। 

ওয়ারলেস কমিউনিকেশনের উপর এই পুরষ্কার দেওয়া হবে। কোনও বিশেষ বিজ্ঞানী বা তিনজন বিজ্ঞানীর টিমকে এই পুরষ্কার দেওয়া হবে। এই পুরষ্কারের মধ্য়ে থাকছে একটি ব্রোঞ্জের মেডেল, একটা সার্টিফিকেট ও সাম্মানিক।

আগামী ২০২৫ সালে প্রথম মেডেল দেওয়া হবে।