‘‌বার্ধক্য ভাতার বিষয়টি আমার মাথায় আছে’‌, জয়নগরের সভা থেকে বড় ঘোষণা মমতার

একদিন আগেই ডায়মন্ডহারবারে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ‘‌শ্রদ্ধার্ঘ্য’‌ হিসাবে বার্ধক্য ভাতা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী রাজ্য সরকার না দিলে দলের পক্ষ থেকে তিনি দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিষেকের এই মাস্টারস্ট্রোকে বেসামাল বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু রাজ্য সরকার কবে দেবে বার্ধক্য ভাতা?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। আর তার জবাব মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন জয়নগরের সভা থেকেই। তবে এখান থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে চেক পেয়ে বয়স্ক প্রবীণ মানুষজন অত্যন্ত খুশি। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, কোনওভাবে সরকারের পক্ষ থেকে যদি গোটা রাজ্যে এই ভাতা চালু করা যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আবেদনের কথা যে তাঁর মাথায় আছে সেটাও মঙ্গলবার জয়নগরের সভা থেকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেকের সেই অনুরোধ সরকারি স্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনা করেন কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে জয়নগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিষয়টা তাঁর মাথায় আছে।

অন্যদিকে এই বার্ধক্য ভাতা দেওয়া নিয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি দিয়োছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই টাকা কোথা থেকে দিলেন এবং অর্থের উৎস জানতে চান তিনি। যদিও চেক পেমেন্টে স্পষ্ট থাকে কোথা থেকে উপভোক্তারা টাকা পেলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা থেকে ঘোষণা করলেন, ‘‌বয়স্কদের বার্ধক্যভাতা কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আমি চেষ্টা করছি এটা অন্তত ধাপে ধাপে করে দেওয়া যায় কিনা। সেটা পরে ঘোষণা করব। তবে বিষয়টা আমার মাথায় আছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এটা তৃণমূলের বিরাট জয়’‌, বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলা নিয়ে মহুয়ার প্রশংসায় মমতা

এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের বহুদিনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রেখে বাংলাকে বঞ্চনা করেছে। একশো দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা, গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা এমনকী স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই আবহে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কদের জন্য নিজ দায়িত্বেই বার্ধক্য ভাতা চালু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই কাজ করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানান, রাজ্য সরকার চেষ্টা করুক এটা দেওয়ার। ধাপে ধাপে দেওয়া যায় কিনা দেখবেন বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।