Pilot Fatigue: পাইলটদের ক্লান্তি কমাতে নয়া উদ্যোগ নিল DGCA, বিশ্রামের সময় বাড়ল অনেকটাই

দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়েন পাইলটরা। এতে যাত্রী সুরক্ষা নিয়েও সমস্য়া দেখা দিতে পারে। তবে এবার পাইলটদের সেই ধারাবাহিক ক্লান্তি কিছুটা দূর করতে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। সাপ্তাহিক বিশ্রামের সময়টা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নাইট ডিউটির সময়টা নিয়েও নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পাইলটদের ক্লান্তি দূর করতে একাধিক সংস্কার মূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিমানের সার্বিক সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জেরে ভারতের এভিয়েশন সেক্টরে একটা নয়া জোয়ার আসবে।

Fatigue Risk Management Systemটা নতুন করে লাগু করা হচ্ছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এক্স হ্য়ান্ডেলে লিখেছেন, ফ্লাইট ডিউটি টাইমটা নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। পাইলটদের রোস্টারগুলি নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে। পাইলটদের কাছ থেকে সরাসরি এনিয়ে মতামত নেওয়া হবে। FDTL রেগুলেশনগুলি নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে। তাঁরা কতক্ষণ ধরে বিশ্রাম নিচ্ছেন, তাঁদের নাইট ডিউটি কতক্ষণ থাকছে সবটা দেখা হবে।

মূলত কেন পাইলটরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন তা নিয়ে ডিজিসিএ পর্যালোচনা করেছে। মূল কারণগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। আর সেটা দেখতে গিয়ে একাধিক বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। তাতে দেখা যায় ফ্লাইট ডিউটির সময়টা কতটা রয়েছে সেটা দেখতে হবে। পাইলটদের নাইট ডিউটি কতক্ষণ থাকছে সেটা দেখতে হবে। অতিরিক্ত সময় তাঁদের ফ্লাইট ডিউটিতে থাকতে হচ্ছে কি না সেটা দেখাটাও জরুরী। মূলত কারণগুলি সম্পর্কে জানতে পারলেই আখেরে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

আর সেই নিরিখে সাপ্তাহিক বিশ্রামের সময়টা বৃদ্ধি করে নয়া নিয়মে ৩৬ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা করা হয়েছে।

এদিকে পাইলটদের বিমান নিয়ে বিভিন্ন টাইম জোনের মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়। সেটাও মাথায় রাখা হচ্ছে। আগের নিয়মে একজন পাইলটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬টি ল্যান্ডিং পর্যন্ত অনুমোদন করা হত। তবে এবার নয়া নিয়মে এই ল্যান্ডিং সীমিত করে ২টি করা হচ্ছে।