AMU Students Arrested: ISIS যোগের অভিযোগ, গ্রেফতার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ পড়ুয়া, পরিকল্পনা চলছিল হামলার

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে আইএস যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস। সোমবার গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের মাথার দামই ২৫ হাজার টাকা করে ধার্য করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। দুই ধৃতের নাম – ফরাজ আহমেদ (২২ বছর বয়স) এবং আবদুল সামাদ মালিক (২৫ বছর বয়স)। ফরাজকে আলিগড় থেকেই গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা। এদিকে আবদুলকে সম্ভল থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুই যুবককেই লখনউ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ‘আমি আবার নিশ্বাস নিতে পারছি’, সুপ্রিম রায়ের পর স্বস্তির অশ্রু বিলকিসের চোখে)

এই আবহে সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গোপ সূত্রে তাঁরা জানতে পেরেছিলেন যে আইএস যোগ থাকার দাবি করে কিছু ব্যক্তি দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। পরে সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে তদন্তে নামেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর। এরপর গত বেশ কয়েক মাস ধরেই ফরাজ এবং আবদুলের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। এছাড়াও এই মামলার সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এই আবহে মামলায় অভিযুক্ত ৭ জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছিল।

তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ধৃত ফরাজ এবং আবদুল সহ আগে গ্রেফতার হওয়া ৭ জন মিলে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএস মডিউল খোলার পরিকল্পনা করেছিল। এই ৯ জন মিলে দেশবিরোধী এক বড় সন্ত্রাসী হামলার ছক কষছিল। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী, ধৃত ফরাজ মনস্তত্ত্ব নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এরপরে এমবিএ কোর্সে ভরতি হওয়ার জন্য ২০২৩ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিল। এদিকে আবদুল সামাদ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশ্যাল ওয়ার্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতি হয়েছিল। এই আবহে মেধাবী দুই ছাত্র সন্ত্রাসবাদী কার্যলাপে জড়িয়ে পড়ে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আরও অনেক পড়ুয়াকে তাদের দলে টানার পরিকল্পনা করেছিল তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, আবদুল সামাদ নিজেই আদালতের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল। এদিকে গপ সূত্রে খবর পেয়ে ফরাজকে আলিগড় থেকে গ্রেফতার করেন সন্ত্রাশ দমন শাখার গোয়েন্দারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত জারি আছে। দুই ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।